সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানালো এই ঘটনা। স্যুটকেস বোঝাই করে বডি পাচারের বহু ঘটনা বাস্তবেও ঘটেছে, সিনেমাতেও কমবেশি আমরা সবাই দেখেছি। তবে সেগুলো সবই ছিল লাশ অর্থাৎ ডেডবডি। এবার জীবন্ত একটি মেয়েকে তারই সম্মতিতে স্যুটকেসে ভরে ফেলল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী।
প্রাপ্তবয়স্ক দুটি ছেলেমেয়ের পরস্পরের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে আসার ইচ্ছা হতেই পারে, এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই। কিন্তু সেই ইচ্ছাকে বাস্তব রূপ দেওয়া জন্য এমন অভিনব পরিকল্পনা সত্যিই অভাবনীয়। বয়েজ হোস্টেলে গার্লস Not Allowed. তাই হোস্টেলে ঢোকানোর জন্য প্রেমিকাকে লাগেজ ব্যাগেই ঢুকিয়ে নিয়েছিল কর্ণাটকের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র। হয়তো ভেবেছিল এভাবেই সিকিউরিটিকে ধোঁকা দেওয়া যাবে। কিন্তু বিধি বাম। শেষপর্যন্ত তা হলনা, ধরা পড়ে গেল ছাত্র ও ছাত্রী দুজনেই।
সন্দেহ হতেই হোস্টেলের গেটে আটকায় সিকিউরিটি। এতবড় ব্যাগ নিয়ে রাতেরবেলা কোত্থেকে ফেরা হচ্ছে, জানতে চাওয়ায় ছাত্রটি বলে, অনলাইনে কিছু সামগ্রীর অর্ডার দিয়েছিল এতে সেসব জিনিসপত্রই রয়েছে। কিন্তু সিকিউরিটি চেন খুলে দেখতে চাইলে সে দেখাতে অস্বীকার করে। স্বাভাবিকভাবেই সেকিউরিটির সন্দেহ জোরালো হয়। কী এমন জিনিস রয়েছে ওই ব্যাগে, যা দেখানো যাচ্ছেনা! বডি নয়তো?
জোর করে ব্যাগ খোলার সাথে সাথেই পি.সি.সরকারের ম্যাজিক! বডি তো অবশ্যই, জীবন্ত এক মেয়ের। ছেলেটিকে চেপে ধরতেই স্বীকার করে, কলেজের বান্ধবীকে হোস্টেলে নিয়ে যেতে চাইছিল সে।
বান্ধবীটি নির্বাক ছিল, কেননা স্যুটকেসের ভেতরে তাকে আবিস্কার কোনো নাটক নভেলের প্লটের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, এবং তা দেখে যে সিকিউরিটির চক্ষু ছানাবড়া, সেট ছাত্রীটি লক্ষ্য করেছিল। সিকিউরিটি বাধ্য হয়েই প্রিন্সিপালকে খবর পাঠান। প্রিন্সিপাল আদ্যোপান্ত বর্ণনা শুনে তৎক্ষণাৎ দুজনকে সাসপেন্ড করে দেন।