ফ্রান্সের প্যারিস শহর প্রেমের শহর বলেই পরিচিত। এই শহরেরই মিউজিয়াম ‘গ্রিভাঁ’-য় ২০০০ সাল থেকে পুতিনের মোমের পুতুল অবস্থান করছিল। গত মঙ্গলবার সেটি সরিয়ে ফেলা হলো প্রবল ঘৃণায়, চালান দেওয়া হল গুদামে।
ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। পশ্চিমি দেশগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নানান দূরত্ব তৈরি হয়ে চলেছে পুতিনের সাথে। প্যারিস তারই প্রতিফলন ঘটালো মূর্তি সরিয়ে।
গ্রিভাঁ মিউজিয়ামের পরিচালনকর্তা ইবস দিহোলমি বলেছেন, “আজকের দিনে এঁর মতো চরিত্রকে লোকের সামনে তুলে ধরা সম্ভব নয়। সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর জেরে ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনো মূর্তি সরিয়ে নিচ্ছি আমরা। যা ঘটছে তাতে ওঁর মূর্তি চোখের সামনে থাকুক এটা আমাদের কর্মীরা চাননা। গ্রিভাঁ মিউজিয়ামে হিটলারের মতো স্বেচ্ছাচারীদের কখনও আমরা তুলে ধরিনি। বর্তমানে পুতিনকেও তুলে ধরতে চাইনা।”
এটা খুবই আশ্চর্যের বিষয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে হিটলারের সাথে তুলনা করা চলছে। ফ্রান্সের একটি মিউজিয়ামে মূর্তি সরানোর মতোই , রাশিয়ার ইতিহাসেও এমন ঘটনা অবাঞ্ছিত এবং অপ্রত্যাশিত ছিল।
যুদ্ধ থেমে গেলে এই মোমের মূর্তি স্বস্থানে ফিরিয়ে আনা হবে কিনা সে সম্পর্কে মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে সরাসরি কিছু বলা হয়নি। তবে ইবস বলেছেন, “ওই জায়গায় জেলেনস্কির মূর্তি বসানো হতে পারে। বিপদের সময়ে দেশ ছেড়ে না পালিয়ে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন তিনি। ইতিহাসের মহান ব্যক্তিদের মধ্যে ওঁর জায়গা পাওয়া উচিত।”
এই তুলনা থেকেই স্পষ্ট, দেশপ্রেমিক হিসেবে প্যারিসে কতটা প্রভাব ফেলেছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি।