‘বিবিধের মাঝে মিলন মহান’ এই হলো ভারতের প্রকৃত সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতিরই প্রাণ সাম্প্রদায়িক হৃদ্যতা। একে অপরের ধর্মকে সম্মান করার এই শিক্ষাই আরো একবার সকলের চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন মুম্বইয়ের এক মহিলা।
সোশ্যাল মাধ্যমে একটি পোস্টে ঘটনাটি তুলে ধরেছেন মুম্বইয়ের প্রিয়া সিং। গত ১৫ এপ্রিল তিনি এয়ারপোর্ট থেকে ফেরার সময় একটি ক্যাব বুক করেন। যথাসময়ে ক্যাবটি এসে হাজির হলে উঠে বসেন ও গাড়ি বাড়ির দিকে অগ্রসর হয়। ইতিমধ্যেই ড্রাইভারের ফোনে আজানের সুর বেজে ওঠায়, মহিলা জানতে চান, “আপনি কি রোজা রেখেছেন?”
ড্রাইভার জানান তিনি রোজা রেখেছেন কিন্তু ভাড়ার ডিউটিতে থাকলে রাস্তাতেই নমাজ পড়তে হয় এবং ইফতার সারতে হয়। প্রিয়া তাঁকে আবেদন জানান,”আপনি কি এখন নমাজ পড়তে চান?” ড্রাইভার নিমরাজি হওয়ায় নিজে স্বেচ্ছায় গাড়ি সাইড করিয়ে নিজের পিছনের সিটটি ড্রাইভারকে ছেড়ে দেন নমাজ পড়ার জন্য এবং নিজে সামনের সিটে এসে অপেক্ষা করেন।
এমন মানবিক আবেদন মহিলার কাছ থেকে পেয়ে মুগ্ধ ক্যাব-ড্রাইভার বহুক্ষণ কথা বলেছেন তাঁর সাথে। প্রিয়ার এই ঘটনা সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ার হওয়ায় ভীষণ প্রশংসিত হয়েছে। প্রিয়াও স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, এটাই তাঁর বাবা-মায়ের দেওয়া শিক্ষা।
শুধু তাই নয়, এটাই ভারতের আসল সংস্কৃতি। সেই সংস্কৃতিই তুলে ধরেছেন প্রিয়া। একদিকে যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক হানাহানির ছবি, লাউডস্পিকারে আজান শোনানোর বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়াচ্ছে এক বিশেষ গোষ্ঠী, ঠিক তার বিপরীতে মুম্বইয়ের এই সাধারণ ঘটনাটিই দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে। বুঝিয়ে দেয় –যতই বিষ ছড়াকনা কেন, মানুষে মানুষে সম্প্রীতি মুছে ফেলা যায়না একেবারে।