সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরকালে দার্জিলিং, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির জন্য এগারোটি নতুন প্রকল্পের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি উঠে এল রামপুরহাট অগ্নিকান্ডের প্রসঙ্গ।
শিলিগুড়িতে আয়োজিত এক সভায় রামপুরহাটের বগটুই অগ্নিকান্ডের প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি সহকারে বলেন, “আবারও বলছি, রামপুরহাটের ঘটনায় গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। পুলিশের ভুল হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁরাও তৃণমূলের সদস্য ছিলেন, যাঁদের বাড়িতে আগুন লেগেছিল তাঁরাও তৃণমূল সদস্য ছিলেন।”
এই ষড়যন্ত্রের কারণ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “দেউচা পাঁচামি আটকানোর জন্যই বগটুইয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে। দেউচা পাঁচামি হলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। আমূল পরিবর্তন হবে বাংলার। তখন মানুষ কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। কারুর কথায় কান দেবেননা। সেকারনেই বিরোধীরা খুন করে নজর ঘোরাচ্ছেন।” মমতার আরো সংযোজন, “দুএকটা দুষ্ট গরু সব জায়গায় থাকে। কিন্তু আমি মাফ করবনা। এমন ঘটনা আমি কখনও মাফ করবনা।”
বগটুই কান্ডটিকে আগাগোড়া সাজানো বলে দাবিই শুধু নয়, সন্দেহজনক দিকগুলি ব্যাখ্যা করে মমতা বলেন, “এখানে খুন হলো তৃণমূল নেতা। যাঁদের বাড়িতে আগুন লাগলো তাঁরাও তৃণমূলের সদস্য।উল্টে তৃণমূল কংগ্রেসকেই গালাগালি দেওয়া হচ্ছে। তাহলেই বুঝুন হাত পা মাথা সবই আমাদের কাটা গেল।” পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকার করেন, “হ্যাঁ পুলিশের ভুল ছিল। খুনের পর ওদের আশঙ্কায় করা উচিত ছিল একটা কিছু হতে পারে।”
এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী উন্নাও, হাথরাস, নেতাই গণহত্যার বিচার নিয়ে বিরোধী দলের দিকেও কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন এবং বাংলা তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ জায়গা এমনটাই দাবি করেছেন।