এবার থেকে আর শুধুমাত্র ‘কংগ্রেস’ নয়, ‘ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস’ এই সম্পূর্ণ নামটিই ব্যবহার করতে হবে। পার্টির উদ্দেশ্যে সেই অভিমত প্রকাশ করলেন রাহুল গান্ধী। সাংবাদিক সম্মেলন হোক বা সাধারণ জনসভা, বক্তব্য রাখতে গিয়ে ‘ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ‘ নামটি উল্লেখ করতে হবে সমস্ত দলীয় নেতাকর্মীদের। বিজেপির বিদুদ্ধে এটা একপ্রকার এজেন্ডা বলেই ব্যাখ্যা করলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
গত সোমবার কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির হিন্দু জাতীয়তাবাদের সাথে কংগ্রেসের জাতীয়তাবাদের স্পষ্ট তফাৎ রেখা টানলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর বক্তব্য, “আমি হিন্দু ধর্ম নিয়ে যথেষ্ট পড়াশোনা করেছি। সেই ধারণা থেকেই বলতে পারি, মানুষকে খুন করা বা পেটানোর মধ্যে হিন্দুত্ব নেই।”
ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কিছু কাজের প্রশংসাই অবশ্য করেছেন রাহুল, তবে তাঁর মতে এর দ্বারা বিজেপির মূল ভাবনায় আঘাতের বিষয়টি অমার্জনীয়। আরএসএস এবং বিজেপি দেশের মূল সাংস্কৃতিক পরিকাঠামো নিয়ে ইচ্ছেমতো নাড়াঘাঁটা করছেন। এর তুলনা দিতে গিয়ে বিজাপির মেরুকরণের রাজনীতির ব্যাপক নিন্দা করেন রাহুল গান্ধী। এই বিচ্ছিন্নতাবাদ যে ভারতের মূল ভাবনার পরিপন্থী, সেটাই তিনি বারংবার উল্লেখ করেছেন।
অনেকবার অনেক ইস্যুতেই হিন্দুবাদ ও হিন্দুত্ববাদের পার্থক্যরেখা টানার চেষ্টা করেছেন রাহুল গান্ধী, তবে এই জটিল ব্যাখ্যাকে খুব সহজ করে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন তাতে সন্দেহ নেই। কেননা আজও দেশের গরিষ্ঠ মানুষজন বোঝেননা নাথুরাম গডসের গান্ধীজিকে হত্যার নেপথ্যে সঠিক কারণটি ঠিক কী! তফাৎটা তাই একেবারে মূলের মধ্যে রয়েছে। ইতিহাস সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।