এই মূহুর্তের সবচাইতে আলোচিত বিষয় ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ চলচ্চিত্র। ৯০ দশকের কাশ্মীরি পন্ডিতদের হত্যা ও বিতারণ নিয়ে আধারিত এই ছবি ৮ দিনেই ১০০ কোটির ব্যবসা ছুঁয়েছে। বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত এই ছবিটি দেখে সমাজের বিশিষ্ট বর্গের নানাজন নানারকমের মতামত দিচ্ছেন। সম্প্রতি লেখিকা তসলিমা নাসরিন সিনেমাটি দেখে উৎসাহিত হয়ে বলেছেন, “এবার বাংলাদেশ থেকে হিন্দু বাঙালিদের উচ্ছেদ নিয়েও সিনেমা হওয়ার সময় এসেছে।”
লেখিকা তসলিমা নাসরিনের প্রতি তথাকথিত হিন্দুত্ববাদীদের প্রচ্ছন্ন এক পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। সাম্প্রতিক বহুচর্চিত ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ মূলত হিন্দু সেন্টিমেন্ট কেন্দ্র করে তৈরি। ৯০ দশকে কাশ্মিরি পন্ডিতরা সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিলেন তাতে সন্দেহ নেই। তবে সচেতন মহলের একাংশের দাবি, এই ছবিতে সত্য ঘটনার ওপর বেশ কিছুটা রঙ চড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। নিজের ট্যুইটে ছবিটি সম্পর্কে প্রশংসা করেছেন তসলিমা নাসরিন। তবে তাঁর কথাগুলো ভালো করে খুঁটিয়ে পড়ে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া আবশ্যক।
‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিটি সম্পর্কে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে খুব সেফ খেলেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এই সিনেমাটির প্রসঙ্গে ট্যুইট করে তিনি বলেন, “যদি এই ছবির গল্প ১০০ শতাংশ সত্যি হয়, কোনো বাড়তি কিছু না দেখানো হয়ে থাকে, অর্ধসত্য দেখানো না হয়ে থাকে, তাহলে এটা সত্যিই খুব দুঃখের ঘটনা।”
কথাগুলি লক্ষ্য করার মতো।
লেখিকা তসলিমা নাসরিন, যিনি পেশায় ডাক্তার , অগাধ পড়াশোনা, নিজে সাম্প্রদায়িক বিষয়ে লেখালেখি সূত্রে যথেষ্ট সচেতন — সেই তসলিমা ১৯৯০ সালের কাশ্মীরের সম্পর্কিত এই ঘটনা সম্পর্কে বেশিকিছু জানেননা, এটা হজম করতে একটু অসুবিধা হয় বৈকি! তাহলে প্রশংসনীয় মতামত দিয়েও একটি সংশয়পূর্ণ জিজ্ঞাসাচিহ্ন রেখে দিলেন কেন? তাঁর সংশয়ের কারণ কী? সচেতন মানুষ ভেবে দেখবেন।
এর পাশাপাশি তসলিমা নাসরিন আরো দাবি করে বলেছেন, “আমি বুঝিনা কেন বাংলাদেশ থেকে হিন্দু বাঙালিদের বিতরণ করা নিয়ে কোনও ছবি এখনও তৈরি হয়নি!”
লেখিকার এই বক্তব্যে বহু হিন্দুবাঙালির মনের অভিব্যক্তিই প্রকাশ পেয়েছে, একই সঙ্গে আলোচনার শিরোনামে উঠে আসার ছোট্ট একটু আন্তরিক উস্কানিও প্রকাশ পেয়েছে কি?