ভারতের বেশকয়েকটি রাজ্যে সংখ্যার নিরিখে হিন্দুরা সংখ্যালঘু চিহ্নিত হবার দাবি রাখে, বিষয়টি অনেকদিন ধরেই সর্বসমক্ষে তুলে আনতে চাইছিল বিজেপি। এবার কেন্দ্রের সাথে সেইসব রাজ্যগুলির আলোচনার ক্ষেত্রে আর এক ধাপ অগ্রসর হওয়া গেল। ‘কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক’-এর দাখিল করা সুপ্রিম কোর্টের এক হলফনামা থেকে এটা সম্প্রতি জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশেষ ক্ষেত্রে বিচার বিশ্লেষণের নিরিখে কোনো সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমন, ২০১৬ সালে মহারাষ্ট্র সরকার কর্তৃক ইহুদিরা সংখ্যালঘু হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। ভাষার নিরিখে কর্ণাটক সরকার উর্দু, তেলেগু, তামিল, মালয়ালম, মারাঠি, হিন্দি, কোঙ্কনি এবং গুজরাটিকে সংখ্যালঘু ভাষা হিসেবে মর্যাদা দিয়েছিল। সেই উদাহরণ তুলেই আবেদনকারীদের দাবি, তাহলে হিন্দুরা বহু ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু মর্যাদা পাবেননা কেন?
এই সূত্রে কিছুদিন আগেই প্রত্যেক রাজ্যের জনসংখ্যার ভিত্তিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভাগ করার জন্য একটি পিটিশন জমা দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা, আইনজীবি অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে একটি National Commission for minority educational Instiution একটি আবেদন জমা দিয়েছে। এই আবেদনে আইনের ২০০৪-এর ধারা ২(এফ)-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আইনের এই ধারায় সারা দেশে মোট ৫টি ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ৫টি সম্প্রদায় হলো –মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সি। অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় এই প্রথাকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন দেশের ৯টি রাজ্যে হিন্দুরাই সংখ্যালঘু। এবার সেই আবেদনেরই ধারাবাহিকতায় দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকারের সাথে আলোচনায় বসতে চলেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের সাথে আলোচনা ফলপ্রসূ হলে ভারতে ভাষাগত ও ধর্মীয় ভিত্তিতে অনেকগুলি রাজ্যেই ‘সংখ্যালঘু’ হিসেবে চিহ্নিত হবার ক্ষেত্রে সফল হতে চলেছে বলেই মনে করা যায়।