কাশ্মীরের শ্রীনগরে মুখোমুখি গুলির লড়াইয়ে পর্যুদস্ত জঙ্গিরা। গত ৩৬ ঘন্টায় দফায় দফায় চলে পুলিশের অভিযান। আর তাতেই মোট ৯ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। মৃত জঙ্গিদের মধ্যে ৩জনকে ডিসেম্বরে পুলিশের বাসে হামলাকারী হিসেবে শনাক্ত করা গেছে।
ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ নাগাদ শ্রীনগরের জেওয়ানে পুলিশ ক্যাম্পের কাছাকাছি পুলিশের একটি বাসে হামলা চালিয়েছিল জইশ জঙ্গিরা। সেই অতর্কিত হামলায় শহীদ হয়েছিলেন ৩ পুলিশ কর্মী, এছাড়াও আহত হয়েছিলেন প্রায় ১৪ জন। সেদিন আচমকাই বাসটিতে উঠে পড়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলি চালাতে শুরু করে দিয়েছিল জঙ্গিরা। পুলিশ কর্মীদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যেই জেওয়ান ট্রেনিং কলেজের দিকে যাচ্ছিল ওই বাসটি। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা সেনা কনভয়ে হামলাও ঠিক এই পদ্ধতিতেই ঘটেছিল। তারপর দ্বিতীয়বার জেওয়ানের পুলিশ বাসে জঙ্গিদের এই ভয়ঙ্কর আক্রমণ।
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শ্রীনগরের পান্থাচকে সিআরপিএফ জওয়ান ও শ্রীনগর পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায়। রাতভর চলতেই থাকে গুলিবর্ষণ। এই মুখোমুখি গুলির লড়াইয়ে সিআরপিএফ ও পুলিশবাহিনীর অনেকে আহত হলেও মারা গিয়েছে পুলিশ বাসে হামলাকারী জইশ জঙ্গি সংগঠনের ৩ জঙ্গি।
জোনাল কাশ্মীর পুলিশের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে খবরটি উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, “পুলিশ এনকাউন্টারে মৃত জঙ্গিদের মধ্যে অন্যতম। একজন হল, সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের নেতা সুহেল আহমেদ রাথের। এই জঙ্গি নেতাই ডিসেম্বরে জেওয়ানের পুলিশ বাসে হামলা চালিয়েছিল।”
সবমিলিয়ে ৩৬ ঘন্টার ছিল এই সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযান, যে লড়াইয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিদের মোকাবিলা করে ৯ জন জঙ্গিকে খতম করল পুলিশ ও ভারতীয় সেনাবাহিনী। উল্লেখ্য, এই অভিযানের আগে অনন্তগ্রাম ও কুলনাগ জেলায় আরো দুটি এনকাউন্টারে ৬জন পাকিস্তানি জঙ্গি সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ২জন পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিক ছিলেন।