জালভোট রুখতে সম্প্রতি কেন্দ্রে একটি বিল পাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভোটার লিঙ্কের সাথে আধার কার্ডের লিঙ্ক করানোর মধ্যে দিয়েই এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এমনটাই বলা হয়েছিল। সম্প্রতি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বেশকয়েকজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আমলা স্বাক্ষর করে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখে আপত্তির কথা জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, ভোটার কার্ডে আধার লিঙ্ক করালে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়।
বহু স্বাক্ষর সম্বলিত এই চিঠি প্রেরকদের তালিকায় রয়েছেন, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব জি কে পিল্লাই, প্রাক্তন স্বাস্থ্যসচিব কে সুজাতা রাও, প্রাক্তন আইএএস অরুণা রায় প্রমুখ। আপত্তির কারণ তুলে ধরে তাঁরা স্পষ্টতই জানিয়েছেন, “ভোটার আইডি দেওয়া হয় নাগরিকত্বের বিচারে, অন্যদিকে আধারকার্ড হল ব্যক্তির নিজস্ব পরিচয়পত্র।” এই মর্মেই প্রাক্তন আমলারা দুটি পরিচয়পত্রের লিঙ্ক করানোর ক্ষেত্রে আপত্তি তুলেছেন।
যদিও কেন্দ্রের বিলের বিরোধিতা দলমতের উর্দ্ধে হলেও উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস এই বিলের বিরোধিতার কথা জানিয়েছে।কিন্তু কোনওপ্রকার বিরোধিতা গ্রাহ্য না করেই বিলটি পাস করিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
জনগণের ব্যক্তিগত অধিকারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এই বিল প্রসঙ্গে ডেরেক ও ব্রায়েন বলেছিলেন , “অপশাসনের জলজ্যান্ত উদাহরণ এই সরকার। বিরোধীদের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। জোর করে বিল পাস করানোর চেষ্টায় বিরোধীদের কোনঠাসা করা হচ্ছে।”
কার্যত কৃষিবিলের পদ্ধতিতেই হট্টগোলের সুযোগ নিয়ে একরকম গায়ের জোরেই এই বিল পাস করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, তৃণমূল কংগ্রেসের এমনই অভিযোগ। উল্লেখ্য, শুধু তৃণমূল নয় সিপিআইএম, সিপিআই, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে প্রভৃতি দলও কেন্দ্রের এই বিলের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করেছে।