নাট্যকার, নাট্যকর্মী, সাহিত্যিক ছাড়াও ব্রাত্য বসুর আরো এক বড় পরিচয় তিনি তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী। ফলে বিজেপির সঙ্গে সংঘাত চরমে। বর্তমানে রাজ্যপালের সাথে সরাসরি দ্বন্দ্বে জড়িয়ে চক্ষুশূল। সেই ব্রাত্য বসুই সম্প্রতি ‘সাহিত্য অ্যাকাডেমি’ পুরস্কার পেতে চলেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা মনোনীত এই পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন ব্রাত্য বসু? বিজেপি শিবিরের বক্তব্যই বা কী? কৌতূহল জাগাই স্বাভাবিক।
সম্প্রতি ‘মীরজাফর অন্যান্য নাটক’ বইটির জন্য ‘সাহিত্য অ্যাকাডেমি’ পুরস্কারে মনোনীত হয়েছেন লেখক, নাট্যকার ব্রাত্য বসু। খবর পাওয়া মাত্রই ফেসবুকে তা জানিয়ে লিখেছেন, “এসো সুসংবাদ এসো।” তবে নিন্দুকেরা অন্য কথা বলছেন। তাদের মতে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিজেপির কাছে ‘ব্রাত্য’ হওয়া সত্ত্বেও, কেন্দ্রের তরফে এই মনোনয়নের পেছনে রাজনৈতিক চাল রয়েছে!
ব্রাত্য বসু অবশ্য পরিস্কার বলেছেন, “কেন্দ্রের হলেও এই পুরস্কার ঘোষণা করে একটি স্বশাসিত সংস্থা।”
তৃণমূল সাংসদ ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ সৌগত রায় বলেছেন,”সাহিত্য অ্যাকাডেমিতে বিজেপি ঘেঁষা লোক থাকলেও বইটির গুণগত মানের জন্যই তাঁরা ব্রাত্যকে এড়িয়ে যেতে পারেননি।”
বাংলা সাহিত্যের ছাত্র ব্রাত্য বসু প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা সম্পূর্ণ করে সিটি কলেজের প্রফেসর নিযুক্ত হন। ২০০৮ সালে ‘ব্রাত্যজন’ নামে নিজস্ব থিয়েটার গ্রুপের মাধ্যমে একের পর এক সার্থক নাটক উপহার দেওয়ার পাশাপাশি তিনি পর্দাতেও অভিনয় করেছেন সমানতালে। এরপরেই যোগ দেন রাজনীতিতে। সৌগত রায়ের মতে, “সবদিক সামলে এতকিছু করাটা সত্যিই অসাধারণ প্রচেষ্টা। আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। ওঁর হাত ধরে আজ বাংলা নাটক সম্মানিত, বাংলা সম্মানিত।”
ওদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, “বিজেপি রাজনীতির সঙ্গে সংস্কৃতিকে মেলাতে চায়না। সর্বত্রই এমনটা হওয়া দরকার।”
এরপরই অবশ্য কটাক্ষ করে বলেছেন, “রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শ্রেণীশত্রু মনে করার পরিবেশ তৈরি হয়েছে বাংলায়। সেটা তৃণমূলের অবদান। বিজেপি এমন সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেনা। ফলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এমন পরিবেশ নেই।”
যোগ্য ব্যক্তিত্বের গুণগত প্রশংসা করেও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে টিপ্পনী দিয়েই ছাড়লেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার।