দেশে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ এসে পড়েছে। এ রাজ্যেও দ্রুত হারে বেড়েছে সংক্রমণ। তার ওপর করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রন নিয়ে চিন্তিত সকলেই। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩ তারিখ অর্থাৎ সোমবার থেকে বিধিনিষেধ আনার কথা জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ২টি সরকারি কর্মসূচিও বাতিল করা হয়েছে।
গত কয়েকদিনে রাজ্যে করোনার নতুন সংক্রমণ বাড়লেও, মৃতের সংখ্যা কম, এটাই আশার কথা বলা যায়। তাই করোনার তৃতীয় ঢেউ এসে গেলেও পরিস্থিতি দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় কম আশঙ্কাজনক বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে সাবধানতা অবলম্বন করা অবশ্যই উচিত। এই অবস্থায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিকল্পিত কর্মসূচি ‘ছাত্র সপ্তাহ’ উদযাপন বাতিল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসাথে বাতিল করা হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’। তবে সরকারি পক্ষ থেকে ‘বাতিল’ শব্দটিতে আপত্তি জানানো হয়, তাঁরা জানিয়েছেন এই মূহুর্তে কিছুদিনের জন্য কর্মসূচিতে ‘স্থগিতাদেশ’ দেওয়া হয়েছে। বিপদের ঝুঁকি কিছুটা কমলেই ২টি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
ক্রমশ বেড়ে যাওয়া করোনা সংক্রমণের জেরে স্কুল-কলেজ কিছুদিনের জন্য ‘ ছুটি ‘ দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন মমতা। নবান্ন সূত্রে খবর, এখনই ‘আংশিক লকডাউন’ কিংবা ‘কঠোর বিধিনিষেধের ‘ কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি। পরিবহনের ক্ষেত্রেও এখনই কোনওপ্রকার নিষেধ আরোপের কথা বলা হয়নি। সমস্ত ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি অনুযায়ী আলোচনা সাপেক্ষে ‘ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ জারি করা হতে পারে।’ এমনটাই সরকারি সূত্রে প্রকাশ।
উল্লেখ্য,এই মূহুর্তে রাজ্যে করোনা সংক্রামিত রোগীদের ৮০ শতাংশেরই কোনও উপসর্গ নেই, থাকলেও ভীষণই কম। উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীও বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন। হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে এমন রোগীর সংখ্যা খুবই কম। ভ্যাক্সিনেশনের ফলেই সেটি সম্ভব হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের আরোপিত বিধিনিষেধের চেয়েও সচেতনতা ও কোভিড বিধি পালন অবশ্য জরুরী। মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার ও আত্মসচেতনতাই কোভিডকে হারাতে পারে, চিকিৎসক ও প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তাই বলা হয়েছে।