মাদক পাচার করতে গিয়ে শিয়ালদা স্টেশনের কাছে ধরা পড়ল দুই ব্যক্তি। লালবাজারের গোয়েন্দারা গোপন সূত্রে খবর পেয়েই তক্কে তক্কে ছিলেন। এদিন বমাল ধরা পড়ল আমজাদ শেখ ও লোকমান মল্লিক। তাদের কাছ থেকে বিপুল টাকার মাদক উদ্ধার করল লালবাজার।
পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে নদীয়ার পলাশীপাড়া থানার অন্তর্গত কুলগাছি গ্রামে আমজাদ শেখের বাড়ি। লোকমান মল্লিক দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনকাঠি থানার মল্লিককাঠির বাসিন্দা। শিয়ালদা স্টেশনের বাইরেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে দুই ব্যক্তি।
ধৃতদের কাছ থেকে পাঁচটি প্যাকেট মিলিয়ে প্রায় ৫২১ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে যার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা!
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান নদীয়া থেকে ট্রেনে করেই আমজাদ নিয়ে আসছিল হেরোইনভর্তি প্যাকেট। শিয়ালদা স্টেশনের বাইরে তার জন্য অপেক্ষারত ছিল লোকমান। তার হাত দিয়েই হতে যাচ্ছিল পাচার। একেবারে মোক্ষম সময়ে গোয়ান্দাদের হাতে ধরা পড়ে যায় দুইজন।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই টালিগঞ্জ সংলগ্ন আনোয়ার শাহ রোডে অটোরিক্সায় মাদকদ্রব্য সমেত ধরা পড়েছিলেন এক মহিলা। এই মহিলাকে জেরা করেই গোয়েন্দারা প্রচুর গোপনীয় তথ্য জানতে পারেন , যা তদন্তে বিশেষ সাহায্য করেছে লালবাজারকে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ক্যানিং, ঘুটিয়ারি শরিফ ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা সংলগ্ন অনেকগুলি এলাকায় মাদকদ্রব্য পাচারের ঘাঁটি রয়েছে বলে আন্দাজ করছে পুলিশ। বিদেশ থেকে চোরাপথে আসা ব্রাউন সুগার, হেরোইন এইসমস্ত জায়গাতেই আনা হয়, তারপর ছোট ছোট প্যাকেট করে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।