প্রেমিক প্রেমিকার বহু প্রতীক্ষিত দিন, এই ভ্যালেনটাইন্স ডে। বিশেষ করে নতুন যারা প্রেমে পড়েছেন, তাদেরই উদযাপনের দিন এই ভ্যালেনটাইন্স ডে। সময়ের সাথে সাথে এই বিশেষ দিনটিকে কেন্দ্র করে আরো কয়েকটি দিন যুক্ত হয়েছে, যার ফলে এটা শুধু আর ১ দিনে সীমাবদ্ধ নেই, হয়ে উঠেছে একটা গোটা ভ্যালেনটাইন্স উইক। চকোলেট ডে, রোজ ডে , কিস ডে এরপরে ফাইনালি ভ্যালেনটাইন্স ডে।
কিন্তু যাকে কেন্দ্র করে এই বিশেষ দিনটি উৎসর্গীকৃত, নিশ্চয়ই অনেকেই জানেন এর নেপথ্য ইতিহাস! আসুন, স্বল্পকথায় সেই ইতিহাসটি ঝালিয়ে নেওয়া যাক। পঞ্চদশ শতকে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ছিলেন এক রোমান চিকিৎসক ও ধর্মযাজক , যাঁর গোটা জীবনটিই প্রেমের জন্য আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত। শুধু তাই নয়, এটি যুদ্ধের বিপক্ষেও একটি দিন হিসেবে মনে করা যায় — যদিও তা উচ্চারিত হয় কম।
ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায়, রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস এক অদ্ভুত ধারণা পোষণ করতেন — বিবাহিত সৈন্যদের চাইতে অবিবাহিত সৈন্যরা বেশি পারদর্শী। তাছাড়া ‘সিঙ্গল’ হলে যুদ্ধে কাজে লাগানো সহজ, এমন মনস্তত্ত্বও ছিল বলে মনে করা যায়। তাই তিনি নিয়ম ঘোষণা করেছিলেন — সেনাবাহিনীতে যারা যোগ দেবেন তাদের বিয়ে করা বা নারী সংসর্গে জড়ানো চলবেনা। এই নিয়মের কার্যত বিরোধিতা করে গোপনে সৈন্যদের মনের মানুষের সাথে মিলন ঘটাতেন, তাদের বিবাহ করাতেন সেন্ট ভ্যালেনটাইন।
একটা সময় রোম সম্রাটের কাছে এই খবরটা জানাজানি হয়ে যায়। সাথে সাথে ধর্মযাজক, প্রেমের প্রচারক ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে নিক্ষেপ করেন তিনি। কিন্তু ভালোবাসাকে কি আর কারারুদ্ধ করা যায়? জেলে থাকাকালীন জেলারের এক অন্ধ মেয়েকে শুশ্রুষা করে সুস্থ করে তোলেন, অবধারিত ভাবেই পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসার অঙ্কুর জন্ম নেয়। এই ভালোবাসার কথা জানতে পেরে আরো খেপে ওঠেন রোম সম্রাট, তিনি সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করেন।
এই সেই দিন। যেদিন এক যুদ্ধবাজ সাম্রাজ্যবাদীর হাতে ভালোবাসার বলিদান হয়। আসলে এর পেছনে রয়েছে এক সেন্ট ভ্যালেনটাইন্স ডে।