হিজাব মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগে পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব সহ কোনওপ্রকার ধর্মীয় চিহ্নিতকারী পোশাক পরা যাবেনা বলেই সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের। কার্যত এখনও অমীমাংসিতই রইল এই মামলা, পাশাপাশি হিজাব না পরার পক্ষেই ঝুলে রইল বিতর্ক।
মাত্র একটি মেয়ের সোচ্চার প্রতিবাদেই চমকে জেগে উঠেছে গোটা ভারতবর্ষ। মুসকান নামের এই মুসলিম মেয়েটি প্রশ্ন তুলেছে নিজের সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে। পাশাপাশি চলছে আরো একটি বিতর্ক — ‘হিজাব’ কি সার্বিকভাবেই নিষিদ্ধ করা উচিত? নাকি নয়? উভয়দিক দিয়ে বিচার করলেই দেখা যাচ্ছে টার্গেট হচ্ছেন সমাজের মেয়েরাই।
ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কর্ণাটকের ঘটনা সম্পর্কে সোচ্চার প্রতিবাদ রেখেছেন। ট্যুইট করে তিনি বলেন, “বিকিনি হোক, ঘুংঘাট হোক, জিন্সের জোড়া হোক বা হিজাব, কী পরতে চান সেটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে একজন নারীর। এই অধিকার ভারতীয় সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে। নারীদের হয়রানি বন্ধ করুন।”
পাশাপাশি নারীদের বস্তুকরণ করার বিপক্ষে মতামত দিয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত সমাজকর্মী মালালা ইউসুফজাই। তিনি ট্যুইটারে নিজের মতামত জানিয়ে বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেয়েদের পড়াশোনা ও হিজাবের মধ্যে যেকোনও একটাকে বেছে নিতে বলছে! যা ভয়ঙ্কর। ‘কম বা বেশি পোশাক পরা’-র মধ্যেই নারীকে বস্তুকরণ করা হয়। ভারতীয় নেতাদের অবিলম্বে নারীদের প্রান্তিক হিসেবে ভাবা বন্ধ করতে হবে।”
একটি মেয়ের অধিকার আছে তার পোশাক বেছে নেবার। এর সপক্ষেই মতামত দিয়েছেন সমাজকর্মী মালালা ইউসুফজাই। উল্লেখ্য, মাত্র ১৫ বছর বয়সেই ইসলামিক কঠোরতার প্রতিবাদ করায় তালিবানদের গুলিতে আহত হয়েছিলেন মালালা। নারীর ইচ্ছার স্বাধীনতার পক্ষেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।