বিশ্বখ্যাত সন্ন্যাসী ভারতীয় পরিব্রাজক স্বামী বিবেকানন্দের চিন্তাভাবনা ও দর্শন আন্তর্জাতিক মহলে সাড়া ফেলেছে বহুদিন আগে। হিন্দু জাতীয়তাবাদী চেতনায় সমৃদ্ধ বিবেকানন্দ নিজেই প্রথম শিকাগো ধর্মমহাসভায় হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন — সে কাহিনী সবার জানা।
এরপর থেকে স্বামীজিকে আবিস্কারের ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে, যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ক্রিস গেইল। অবসরের পর যাঁর একমাত্র আশ্রয় বিবেকানন্দের দর্শন। সম্প্রতি বিবেকানন্দের বই হাতে ক্রিস গেইলের একটি ছবিও সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে।
পরমহংস শ্রীরামকৃষ্ণের ভাবশিষ্য বিবেকানন্দ ভারতের আধ্যাত্মিক মাহাত্মকেই পুনরাবিষ্কার করে প্রচার করেন। হিন্দুচেতনার পুনঃজাগরণে তাঁর ভাবনা ও বক্তব্য পরাধীন ভারতের পিছিয়ে পড়া, দুর্বল হয়ে থাকা মানুষজনকে উদ্দীপ্ত করে তোলে। অসংখ্য বিপ্লবীদের মতোই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুও ছোটবেলা থেকে স্বামী বিবেকানন্দের চেতনাতেই অনুপ্রাণিত ছিলেন।
তাঁর এই দর্শন একাধারে ভারতের অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের অশেষ প্রেরণা যুগিয়েছে, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করেছে, তেমনই পাশ্চাত্যেও ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর চিন্তাধারা। পরবর্তীকালে অনুবাদের মাধ্যমে অন্যান্য দেশেও স্বামী বিবেকানন্দের বইপত্র পুস্তক ও বক্তৃতা ব্যাপক প্রসারলাভ করে। এইভাবেই বিবেকানন্দের সাথে পরিচিত হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট তারকা ক্রিস গেইল — যাঁর টেস্ট ক্রিকেটে ১৫টি সেঞ্চুরি, ওয়ান ডে ক্রিকেটে ২৫টি সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে। সেই ক্রিস গেইলকে মুগ্ধ করেছে বিবেকানন্দের অমোঘ বাণী “শক্তিই জীবন, দুর্বলতাই হলো মৃত্যু।”
অবসর নেওয়ার পর স্বামী বিবেকানন্দের বই আঁকড়ে ধরেছেন ক্রিকেট তারকা। জানিয়েছেন, তাঁর এখন একমাত্র লক্ষ্য স্বামী বিবেকানন্দের বার্তা সারাবিশ্বে প্রচার করা।