প্রাত্যহিক দিনযাপনেই ডায়াবেটিস বাসা বাঁধছে গোপনে অথচ আপনি বুঝতেই পারছেননা, এমনটা ঘটে হামেশাই। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহম্মদ সাইফুদ্দিন এক বৃহত্তর সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে একটি জরুরি কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, “যাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে তাঁরা প্রথমদিকে বুঝতেই পারেননা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন। কারণ এই রোগ হল ধীর গতির ঘাতক। হওয়ার সাথে সাথে বিপদে নাও ফেলতে পারে, তবে আস্তে আস্তে ক্ষয় ধরিয়ে দেবে।”
ডায়াবেটিস থেকে লিভার, কিডনি, চোখ পর্যন্ত ড্যামেজ হতে পারে। সুতরাং বাইরে কোনও উপসর্গ না দেখলেও ডায়াবেটিসকে অবহেলা করা যায়না কিছুতেই। এখন প্রশ্ন হল, উপসর্গ যদি বোঝা না যায় তাহলে সতর্ক হওয়া যায় কীকরে? প্রথমে এখানে কয়েকটি সাধারণ লক্ষণের কথা জানানো হল যেগুলির একটাও আভাস দিলে সতর্ক হতে হবে।
বারবার প্রস্রাব পাওয়া এবং তেষ্টা পাওয়া, হঠাৎ খিদে বেড়ে যাওয়া, দুর্বল ঘোর ঘোর ভাব, মিষ্টি খাবারের প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ, ক্ষত বা আঘাত চিহ্ন শুকোতে দেরি হওয়া, আচমকাই কমে যাওয়া ওজন, ত্বকে রুক্ষ খসখসে ভাব এগুলিই সাধারণ লক্ষণ বলে বিবেচিত হয় যা হয়তো অনেকেই জানেন কিন্তু সচরাচর লক্ষ্য করেননা। এর পাশাপাশি ডায়াবেটিসের প্রভাব শুধু শরীরে নয় মনের ওপরেও প্রভাব ফেলতে পারে। অল্পে বিরক্তি, খিটখিটে মেজাজ ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। ভুললে চলবেনা স্ট্রেস ও অতিরিক্ত টেনশনই ডায়াবেটিস বাড়ানোর মূলে। এই লক্ষণগুলি ছাড়াও কিছু বিশেষ লক্ষণ আজকাল চিকিৎসকরা চিহ্নিত করছেন।
তার মধ্যে একটি হলো ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর পা। পায়ের পাতায় সামান্য কিছু পরিবর্তন আপনার শরীরে ডায়াবেটিসের পূর্বাভাস হতে পারে।
হঠাৎ যদি লক্ষ্য করেন আপনার পায়ের পাতা লাল হয়েছে, দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করান। পায়ে সারাক্ষণ গরম ভাবও ডায়াবেটিসের পূর্বলক্ষণ।
এছাড়াও পায়ের ফোলাভাব যদি নজরে পড়ে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কেননা এই সবকটিই ডায়াবেটিসের পূর্বাভাস বলে ধরা হয়।