রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে নৃশংস গণহত্যার প্রেক্ষিতে রাজ্যসরকার পদক্ষেপ নিলেও সিবিআই তদন্তের আওয়াজ তুলেছিল বিজেপি। ঘটনাক্রমে হাইকোর্টও সিবিআই তদন্তের পক্ষেই নির্দেশ জারি করেছে। শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই রায় ঘোষিত হয়।
নিরপেক্ষ তদন্তের প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসম্পাদক কুনাল ঘোষ সিবিআইয়ের ভূমিকা সম্পর্কে প্রথমত সংশয় প্রকাশ করেন এমনকি সিবিআই তথা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি যে আদতে নিরপেক্ষ নয়, আসলে তারা বিজেপির পক্ষে, এমনও উল্লেখ করেন। তবে হাইকোর্টের রায়কে সম্মান জানিয়ে বগটুই অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে সিবিআইকে সহায়তা করবেন বলেই জানান কুনাল ঘোষ ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে তৃণমূলের তরুণ মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য একেবারেই সরাসরি এই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজনীয়তা নিয়েই জোরালো প্রশ্ন তুলেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করে দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন , “সব তদন্তই যদি সিবিআই করবে তাহলে রাজ্যসরকার রাখার মানে কী? আদালত, রাজ্যপাল এবং সিবিআই মিলেই তবে রাজ্য চালাক! নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন নেই।”
বগটুইয়ের নারকীয় অগ্নিকাণ্ড আইনের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে জানান হাইকোর্টের বিচারপতিদ্বয়। এই মর্মেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তদন্তে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশ্ন উন্নাও লখিমপুরের ঘটনা বা দিল্লীর দাঙ্গার বেলায় সিবিআই তদন্ত হয়না কেন? এই তদন্তে প্রকৃতই ন্যায়বিচার না পেলে পাল্টা গণআন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস।