বিরোধীদলের সক্রিয়তাকেই গণতন্ত্রের সুস্থতা বলে মনে করা হয়। তবে বিরোধীদল বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের আলটপকা মন্তব্যে গণতন্ত্রের সুস্থতা বজায় থাকে কিনা এটা রীতিমতো গবেষণার বিষয় বলেই মনে করেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের প্রসঙ্গে তেমনই এক মন্তব্য করে বসলেন দিলীপ ঘোষ।
রাজ্যসরকারের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, “কোথা থেকে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে তার খোঁজ না করে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা মানুষকে সমস্যায় ফেলার নামান্তর। এতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন বিপর্যস্ত হবে। বহু জরুরি পরিষেবাও আটকে যেতে পারে।”
এই পর্যন্ত তবু ঠিক ছিল। এরপর আরেক পা এগিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যেখানে সমস্যা সেখানে গিয়ে সমস্যার সমাধান করা দরকার। কিছু এলাকা চিহ্নিত করা গিয়েছে, যেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। আমার তো মনে হয় ডিপার্টমেন্ট থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। সরকারি দপ্তরগুলো দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। টাকাপয়সা দিয়ে সেখানে সবকিছু পাওয়া যায়। ডিপার্টমেন্টটাই যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেওয়া কোনও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।”
উল্লেখ্য, গত বছরের প্রশ্ন ফাঁস হওয়া থেকে চিহ্নিত করেই মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, উত্তরদিনাজপুর , কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিংয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে পরীক্ষা চলাকালীন অর্থাৎ ১১টা থেকে ৩:১৫ পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যসরকার। পরীক্ষার দিনগুলি অর্থাৎ ৭ মার্চ থেকে ৯মার্চ, ১১ ও ১২ মার্চ এবং ১৪ থেকে ১৬ মার্চ পরীক্ষার সময়টুকুই, শুধুমাত্র পরীক্ষাকেন্দ্রের আশেপাশের এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা রাজ্যসরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। জ্যামার ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া রুখতে চাইছে রাজ্যসরকার।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই সতর্ক ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধেই প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। উল্টে তিনি ঘুরিয়ে ডিপার্টমেন্টকেই সরাসরি দোষারোপ করায় অবাক বনে গিয়েছে শিক্ষা পর্ষদ। রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছে।