সকলেই ভাবছিলেন দৌড় প্রতিযোগিতা চলছে। ভরা বিকেলে রাস্তায় দৌড়চ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী! সম্প্রতি বঙ্গ রাজনীতির মঞ্চে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বেশ অ্যাক্টিভ। পুরভোটের চলতি হাওয়ায় রোজ কিছু না কিছু অ্যাক্টিভিটি তাঁর মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই ভবানীপুরে দৌড়েছেন। সেটার নাহয় কারণ ছিল, অবাধ্য শ্লোগানদাতাদের ‘ঠান্ডা করতে’ দৌড়েছিলেন ‘নন্দীগ্রাম করা’ বিধায়ক। কিন্তু এদিন তমলুক শহরে হঠাৎ দৌড়াতে গেলেন কেন? উত্তর মিলল অনেক খোঁজের পর।
নির্বাচনী বিধি ভাঙা থেকে রক্ষা পেতেই সঙ্গীসাথীদের নিয়ে দৌড় লাগান তিনি। আসলে শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রচারের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া ছিল।ওদিকে দেরি করে মিছিল শুরু হওয়ায় মাঝরাস্তাতেই ৫টা বেজে যায়। তাই কোনোমতে মিছিল শেষেই দে ছুট! ডেস্টিনেশান বর্গভীমা মন্দির। মন্দিরে ঢুকে পূজোটুজো দিয়ে নিশ্চিন্তি। এবার মন্দির থেকে বের হতেই সরাসরি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
বেরিয়েই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক প্রশ্ন ছোঁড়েন, “ইউক্রেন থেকে বাঙালিদের দেশে ফেরানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মাথাব্যথা নেই কেন?” পরক্ষণেই আশ্বস্ত করে বলেন, “চিন্তা নেই। যেভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীজি আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, জৈনদের দেশে ফিরিয়েছিলেন, একইভাবে ইউক্রেন থেকেও ফেরাবেন।”
ছাত্রনেতা আনিস হত্যাকান্ডেও বক্তব্য রেখেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “শুক্রবার আনিসের দাদা সাজিদের সাথে কথা হয়েছে। সিবিআই তদন্ত চেয়ে ওরা সুপ্রিম কোর্টে যাবে। আমি সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।”
যাঁরা ভাবছিলেন আনিস খান হত্যায় বিজেপির কোনও বক্তব্য নেই কেন? ভাবছিলেন এক্ষেত্রে বিজেপির রাজনীতি স্বচ্ছ, শুভেন্দু অধিকারী নিজেই তার উল্টোদিকে এক প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দিলেন। প্রশ্ন যে আনিস খান এনআরসি, সিএএ বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় মুখ, তাঁকে বিচার পাইয়ে দিতে আচমকা বিজেপির ঘুম উড়ে গেল কেন? এটাও এখন প্রশ্ন হয়ে দেখা দিচ্ছে।