পাকিস্তানের অধিবাসী লস্কর-ই-তৈবার সদস্য মহমম্মদ ইউনিসকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে। বনগাঁ আদালতের সেই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ফাঁসি মকুবের জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল মহম্মদ ইউনিস। লস্কর-ই-তইবার সাথে সরাসরি যুক্ত ছিল এই ব্যক্তি। আত্মঘাতী মানববোমার জন্য বাহিনী গড়ার উদ্দেশ্য টাকা, নারী সবরকমের প্রলোভন দেখিয়ে সে অঞ্চলের যুবকদের কাছে টানতো। এটাই ছিল তার কাজ।
দুর্ধর্ষ জঙ্গি মহম্মদ ইউনিস পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ পৌঁছে ঢাকায় ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থেকে অবশেষে বেনাপোল পেট্রোপোল সীমানা দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে। তার উদ্দেশ্য ছিল উত্তর ২৪ পরগনা থেকে যুবকদের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে লস্কর -ই- তৈবা জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখানো।
নাশকতামূলক ঘটনা ও প্রাণঘাতী অস্ত্র তৈরি সহ একাধিক অপরাধে এই দুর্ধর্ষ জঙ্গিতে হেপাজতে নিয়েছিল পুলিশ।বনগাঁ আদালত মহম্মদ ইউনিসকে ফাঁসির সাজা শুনিয়ে দিয়েছিল সাড়ে চার বছর আগেই। আইপিসি ১২১, ১২১এ, ১২২, ১২০ বি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে লস্কর-ই-তইবার দুর্ধর্ষ জঙ্গি মহম্মদ ইউনিসকে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল বনগাঁ আদালত।
তবে নিয়ম অনুসারে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামীও উচ্চ আদালতে শাস্তি মকুবের জন্য আবেদন করতে পারে।সেই মামলায় এতদিন চলেছিল হাইকোর্টে। আজই এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবার কথা। যেকারণে আজ ছুটি থাকা সত্ত্বেও শুনানির জন্য আদালতে স্পেশাল বেঞ্চ খোলা হয়েছে। মামলার রায় ঘোষণা করার কথা বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে।
এতদিন তিহার জেলে বন্দী ছিল এই জঙ্গি। এবার ইউনিস নিজেই দ্রুত চূড়ান্ত শুনানি চায়। আদালতের পক্ষ থেকে তার জন্য কল্লোল মণ্ডল নামের একজন আইনজীবি নিয়োগ করা হয়েছে। তবে তা অস্বীকার করে মহম্মদ ইউনিস নিজেই প্রশ্নোত্তরে সরাসরি অংশ নিতে চেয়েছে।
তার পক্ষের আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল অবশ্য নামেই লড়তে রাজি হয়েছেন। তিনি কোনোরকমে কেসটির মীমাংসা চান। আইনজীবি বলেছেন, “এই জঙ্গিকে রাজ্যে বেশিদিন রাখা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকির ৷ তাই আজই মামলার শুনানি।” ফাঁসির সাজা থেকে মুক্ত হতে পারবে কি ইউনিস, নাকি ফাঁসিই নিশ্চিত হবে? আজই তা জানা হয়ে যাবে।