তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আবারো জাতীয় সঙ্গীতকে অবমাননার অভিযোগ। এবারের ঘটনাটা একেবারে ‘অধিকারী গড়’ কাঁথিতেই। তাই সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিবাদের মঞ্চে নামলেন শুভেন্দু অধিকারী।
প্রথমত তিনি প্রকাশ্য সভায় ক্ষমা চেয়ে নিজের জন্মভূমিতে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা নিজেরই অবমাননার সামিল বলে বিষয়টিকে তুলে ধরেন। এরপর নির্ভুল জাতীয় সঙ্গীতও পরিবেশন করে দেখান। আসলে গত রবিবার কাঁথির একটি সভামঞ্চে তৃণমূলের কাউন্সিলর রিনা দাস ভুল সুরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। কেউ কেউ মনে করছেন এই ভুল ইচ্ছাকৃত বিকৃতি নয়, তা সত্ত্বেও সামান্য ভুলটিকেই রীতিমতো বড়সড় রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করে গায়ের ঝাল মেটাতে ময়দানে নেমেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি বলেছেন, “অর্ধশিক্ষিত, দেশদ্রোহীরাই এমন কাজ করেন। জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা তো করেছেনই, সঙ্গে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভূমি কাঁথির নামটাও গোটা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে গিয়েছে। সবাই বলছে কাঁথিতে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা হয়েছে।”
শুভেন্দুর দাবি, “তৃণমূলের পক্ষেই জাতীয় সঙ্গীতের এই অবমাননা সম্ভব।” বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর আরো সংযোজন, “আমরা স্বদেশপ্রেমী জাতীয়তাবাদের বিশ্বাস করি। দেশ আমাদের কাছে সবার আগে। আমরা ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা ও ভারতমায়ের ছবির সামনে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে এই অবমাননার জন্য ক্ষমা চাইলাম।”
এরপরেই এল কাঁথির সেই ঐতিহাসিক মূহুর্ত , যেখানে কাঁথিতে দাঁড়িয়ে শুভান্দু অধিকারী জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে প্রায়শ্চিত্ত করেন। খুবই ভালো উদ্যোগ। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন–যেদিন ভরা সভায় জাতীয়তাবাদী ভারতের প্রেরণাদাতা স্বামী বিবেকানন্দের নাম ভুলভাল উচ্চারণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! সেদিন শুভেন্দু অধিকারীর হৃদয়ে কত রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প হয়েছিল? কেউ কি তার হিসাব জানেন?