সন্ত্রাসী হামলায় জেরবার জম্মু ও কাশ্মীর। ২০১৯ থেকে ঘটনাক্রম সাজালে একের পর এক ঘটনা উঠে আসবে যেখানে গুপ্ত হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে ভারতী সেনাবাহিনী। রক্তাক্ত হয়েছে নিরীহ জনসাধারণ।
জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের কারণে আগেও একাধিকবার অভিযুক্ত হয়েছেন ‘জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের’ নেতা ইয়াসিন মালিক। এবার জঙ্গিদের সমর্থনে একেবারে সরাসরি অভিযোগ তুলে ইয়াসিন মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইয়াসিন মালিকের কার্যকলাপ সন্দেহজনক ছিলই। ইতিমধ্যেই ইয়াসিন মালিকের দল ‘জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট’-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সরাসরি জঙ্গি সমর্থনে স্পষ্ট ভূমিকা ও আর্থিক সাহায্যদানের অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করল দিল্লীর স্পেশ্যাল NIA আদালত।
উল্লেখ্য, ইয়াসিন মালিক তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। অর্থাৎ জঙ্গিদের তিনি অর্থসাহায্য ও বিভিন্নভাবে সক্রিয় মদত দিতেন, সেকথা মেনে নিয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালের পুলওয়ামায় বিস্ফোরণের পর থেকেই কাশ্মীর উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অনুসন্ধান জোরালো করা হয়। তখন থেকেই সন্দেহভাজনদের তালিকায় ছিলেন ইয়াসিন মালিক। তদন্তসূত্রে যাদের নাম উঠে আসে তার শীর্ষস্থানে ছিল এই ইয়াসিন মালিকের নাম।
একাধিক ঘটনায় তিনি গৃহবন্দীও থেকেছেন। তবে এবার একেবারে সপ্রমাণ অভিযোগ করে পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার আদালতে ইয়াসিন মাালিক সেই অভিযোগ স্বীকার করেও নিয়েছেন।
আদালতের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ইয়াসিন মালিককে তার মোট সম্পত্তির হিসাব লিখিত আকারে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী শুনানি ধার্য হয়েছে ২৫ মে। ওইদিনই ইয়াসিন মালিকের শাস্তি ঘোষণা করবে NIA আদালত।