অবিবাহিত পুরুষের প্রস্রাব ব্যাবহার করে রোগ মুক্তি!

ডিম খেতে কে না পছন্দ করে! বিশেষ করে শীতের সময় ডিমের চাহিদা মানুষের কাছে আরো বেড়ে যায়। কিন্ত ভেবে দেখেছেন কি যদি এই ডিম যদি জলে সেদ্ধ না করে মানুষের প্রস্রাব দিয়ে সেদ্ধ করা হয়!

এমনটাই হয়ে আসছে চিনের জোজিয়াং প্রদেশের ডোংইয়ঙে। এই প্রদেশের মানুষ বিশ্বাস করেন অবিবাহিত পুরুষের প্রস্রাব থেকে দূর হতে পারে বিশেষ রোগ। সাধারনত বসন্ত কালে এর চাহিদা অনেক টাই বৃদ্ধি পায়।

চিনের জোজিয়াং প্রদেশের মানুষেরা অবিবাহিত পুরুষের প্রস্রাব দিয়ে ডিম সেদ্ধ করে খেতে পছন্দ করেন। তাই বসন্তকাল আসতে না আসতেই সেখানে শুরু হয়ে যায় স্কুল থেকে ছাত্রদের প্রস্রাব সংরহ করা। এই খাবার সাধারনত মানুষের কাছে “ভার্জিন বয় এগ” নামে পরিচিত হলেও তাদের ভাষায় এটির নাম হলো তোংজি ডেন’। এই খাবারের সাথে সেখানকার মানুষের কিছু সাংস্কৃতিক যোগও অবশ্য়ই রয়েছে।

তবে এই ধরনের খাবার তাদের কাছে নতুন কিছু নয়, বহু যুগ ধরেই এরকম খাবার প্রচলিত সেখানকার স্থানিয়দের মধ্যে

কি ভাবে এটি তৈরি করা হয়?

ভার্জিন ছেলেদের কাছ থেকে সংরহ করা প্রস্রাবে খোসা সমেত ডিম গুলি সেদ্ধ করা হয় তারপর সেই ডিম গুলির খোসা ছাড়িয়ে আবার ততক্ষণের জন্য ফোটানো হয় যতক্ষন পর্যন্ত ডিম থেকে প্রস্রাবের গন্ধ আসা না শুরু হয়।

কেন ‘ভার্জিন বয় এগ’ নাম দেওয়া হয়েছে এই খাবারের? কেনই বা প্রস্রাবে সেদ্ধ করা হয়?

অবিবাহিত পুরুষ অথবা ভার্জিন ছেলেদের প্রস্রাব থেকে এই ধরনের খাবার তৈরি করার কারনে এই ডিম টিকে ” ভার্জিন বয় এগ” বলা হয়।

এই খাবার টি চিনের জোজিয়াং প্রদেশের মানুষদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। তাদের বিশ্বাস এই ডিমের মধ্যে রয়েছে বিশেষ কিছু গুনাগুন, এই প্রদেশে স্থানীয়দের মতে ভার্জিন ছেলের প্রস্রাব মিস্রিত ডিম খেলে শরীরের জমে থাকা বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় এমনকি শর্দি কাশি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। যদিও এই বিষয়ে কোনো রমক ব্যাখ্যা প্রকাশ করেননি চিকিৎসকরা।