ভাষার সাথে ধর্মের যে কোনও বিরোধ বা মিলনের সম্পর্ক নেই; ভাষা যথার্থেই ধর্মনিরপেক্ষ, নিজেকে উদাহরণ হিসেবে রেখেই প্রমাণ দিলেন পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। যদিও এর মধ্যে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে প্রচ্ছন্ন শ্লেষ রয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের অনেকে মনে করছেন।
সম্প্রতি কসবায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার এক অনুষ্ঠান মঞ্চে পরিবহন মন্ত্রীকে সম্বোধনের সময় সঞ্চালক বলেছিলেন, “জনাব ফিরহাদ হাকিম”।
মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে প্রথমেই এই বিভ্রাট ঘুচিয়ে আন্তরিকতার পরিবেশ তৈরি করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অভিজ্ঞ নেতা ফিরহাদ হাকিম। মাইক হাতে নিয়ে তিনি বলেন, “সবার আগে সঞ্চালক মহাশয়কে জানাই বাংলায় কোনও ব্যক্তিকে সম্মানসূচক সম্বোধনের জন্য শ্রী বলাটাই বাঞ্চনীয়। ভাষার সঙ্গে ধর্মের কোনও যোগ নেই, বিরোধও নেই”।
এরপরই ইসলাম ধর্ম ও বাংলাভাষা প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, “সেখানে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষকে সম্বোধন করতে গিয়ে অনেকে জনাব বলেন সেটা উর্দু ভাষার প্রভাব। দীর্ঘদিন পাক অধীনে থাকা বাংলাদেশের বাংলাভাষা অনেক ক্ষেত্রে উর্দু দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে বলেই এমনটা হয়েছে। কিন্তু এপারে তেমন উর্দু প্রভাব নেই, ফলে আমাকে শ্রী বলা যেতেই পারে” — এমনটাই খোলাখুলি মত দিয়েছেন ফিরহাদ। শুধু বাংলা বা উর্দু নয় ইংরেজির উদাহরণ দিয়েও তিনি বলেছেন “মিস্টার বা জনাব যদি বলা যেতে পারে তাহলে শ্রী বললে দোষ কোথায়? মানেটা যখন একই”।
যদিও ফিরহাদ হাকিমের এই বক্তব্যকে একেবারে সরল করে দেখছেন না অনেকে। এটাকে বিজেপির কটাক্ষের প্রচ্ছন্ন জবাব হিসেবেই দেখছেন তারা। আসলে বিতর্কটা দুর্গাপূজোর সময় শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদলে তৈরি এক পূজোমন্ডপে তিনি দেবীর উদ্দেশ্যে শ্লোক উচ্চারণ করে বলেছিলেন ‘যা দেবী সর্বভূতেষু মমতা রূপেণ সংস্থিতা’। আর তারপরেই নিন্দায় মুখর হয় বিজেপি।
বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন ফিরহাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, ‘ভিনধর্মী’ হয়ে তিনি দুর্গাস্তবে বিকৃতি ঘটিয়ে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। নভেম্বর মাসে আবারো এক বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যের তুলনায় ‘হিন্দুত্ববাদের হিংসা এবং ইসলামাবাদের হিংসা’ বর্নিত করে বৌদ্ধ ধর্মকে শান্তির পথপ্রদর্শক বলে উল্লেখ করেন। আর এর ফলেই জোরালো হয় বিতর্ক।
‘হিন্দু ধর্ম’ সম্পর্কীয় কোনও মন্তব্যই তাঁর কাছে হিন্দুরা শুনতে চাননা, এই মর্মে আক্রমণাত্মক কথাবার্তা আসতে থাকে। তাঁকে ভুল বোঝা হয়েছে, এই জবাবে ট্যুইট করে ফিরহাদ বলেছিলেন, “আমার ধর্ম ইসলাম। আমার ধর্ম শান্তি ও মানবতার ধর্ম এবং তা অন্য ধর্মকে সম্মান করতে শেখায়। আমার বক্তব্যে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী”।
এদিন কসবার অনুষ্ঠান মঞ্চেও বাঙালি ও বাংলা ভাষার প্রতিনিধি রূপে নিজেকে সামনে রেখে ফিরহাদ হাকিম পুরোনো ঘায়ের কথাই আরো একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন কি! রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ এমন মতামতই দিয়েছেন।
ভারতে বেশ কিছু হিন্দু দের দাবি রয়েছে তারা একদিন ভারত কে হিন্দু রাষ্ট্র হিসাবে পরিচয়…
আজও কিছু মানুষের মধ্যে দেখা যায় বর্বরতার। আসামে হাইলাকান্ডির ঘটনা ৪জন কে আটক করে পুলিশ।…
বিজেপির সুফারিশ পেয়ে হলেন মাদ্রাস হাইকোর্টের জাজ! আজকাল কি তবে এই ভাবেই পাওয়া যায় কোনো…
কয়েকদিন ধরেই বেশ তোলপাড় চলছে সংসদ হচ্ছে একের পর এক বৈঠক মুলতুবি। সংসদ ভবন হোক…
রাজ্য জুড়ে চলছে রেশনের ধর্মঘট। জানা গিয়েছে আগামী ৭২ ঘণ্টা কেউ পাবেন না রেশন। কিন্তু…
বলিউডে লাভ বার্ডস দের মধ্যে আরেকটি জুটি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন। শুরু তে এই…