প্রকাশ্য সমালোচনার জেরে দলীয় নেতাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছিলেন। দিলীপ ঘোষ বিরক্ত হয়ে বলেছিলেন, ওনার মনে হলে উনি দল ছেড়ে দিন! কিন্তু তথাগত রায় অনড়। দুদিন আগেও বলেছেন যে যাই বলুক দল তিনি ছাড়বেননা। দলকে বাঁচাবার জন্য সবরকম ভাবে সৎ পরামর্শ দিয়েই যাবেন! সেই বর্ষীয়ান নেতাই সাতসকালে হইচই ফেলে দিলেন নেটপাড়ায়। ‘বিদায় বার্তা’ জানালেন বঙ্গ বিজেপিকে! এই ট্যুইট দেখে ধাঁধাঁয় পড়েছেন অনেকেই।
প্রাক্তন রাজ্যপাল, বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। বাংলার রাজনীতিতে এখন তাঁর অবস্থান অনেকটা সেই স্বর্গ-নরকের মাঝখানে ঠায় বসে থাকা অনাদি কালের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারুর একটু বেচাল দেখলেই টিপ করে সৎ পরামর্শ ছুঁড়ে মারছিলেন। এক্ষেত্রে মূল নিশানা অবশ্যই ছিল ‘কেডিএসএ’। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, শিবপ্রকাশ ও অরবিন্দ মেনন — এই চার মাথাকেই বঙ্গ বিজেপির সর্বনাশের কারণ বলে দেগে দিয়েছিলেন। ট্যুইটারে এঁদের লক্ষ্য করে তুলছিলেন সমালোচনার ঝড়। বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে এই ঝামেলা তুঙ্গে পৌঁছায়।
নায়িকা শ্রাবন্তী সহ টলিউড থেকে আসা তারকা প্রার্থীদের ‘নগরের নটী’ আখ্যা দিয়ে তখন থেকেই গেল গেল রব তুলে দিয়েছিলেন। বিধানসভায় বিজেপি ধরাশায়ী এবং পরবর্তী উপনির্বাচনে কুপোকাত হবার পর তথাগতর সমালোচনা আরো তীক্ষ্ণ হয়ে ওঠে। ট্যুইটেই বলেন, “৩ থেকে ৭৭ গোছের আবোলতাবোল বুলিতে পার্টি পিছোবে, এগোবেনা। তরুণরা নেতৃত্ব দিন। অর্থ এবং নারীচক্র থেকে দলকে টেনে বার করা আবশ্যক”।
এরপরেও অবশ্য প্রকাশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি বিজেপি সেটা সম্ভবত ‘তরুণ নেতৃত্ব’ অর্থাৎ সুকান্ত এবং শুভেন্দু থাকার কারণে, এটা রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত। যে কারণে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে সোশ্যাল মাধ্যমে একাধিকবার কুকুরের সাথে তুলনা করার পরেও তথাগত রায় পার পেয়ে যান!
তবে টাকা ও নারীচক্র নিয়ে প্রকাশ্য বক্তব্যের কিছুটা সাইড এফেক্ট ফিরে এসেছিল ঘুরপথে। হেয়ার স্ট্রিটে আইনজীবি সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎ তদন্তের দাবি চেয়ে মামলা ঠুকে বসেন। আর দিলীপ ঘোষ তো আগেই সংবাদমাধ্যমে বলে দিয়েছিলেন, ওনার ঠিক মনে না হলে দল ছেড়ে চলে যান!
কিন্তু বিজেপির পিতৃপ্রতীম অভিভাবক তখনও হার মানতে রাজি হননি। দুদিন আগেই ট্যুইট করে জানিয়েছেন, দলকে শোধরাতে প্রকাশ্যেই সমালোচনা করে যাবেন তিনি, যে যা পারে করে নিক। তাহলে আজ হঠাৎ কী হল!
এদিন সাতসকালেই ট্যুইট করে লিখলেন তথাগত রায়, “কারুর কাছ থেকে বাহবা পাবার জন্য আমি ট্যুইটগুলো করছিলামনা। দলের কিছু নেতৃস্থানীয় লোক যেভাবে কামিনী কাঞ্চনে গা ভাসিয়েছিলেন সেটা সম্বন্ধে দলকে সজাগ করার জন্য করছিলাম। এবার ফলেন পরিচীয়তে। পুরভোটের ফলের জন্য প্রতীক্ষায় থাকব। আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি!”
এই ট্যুইটবাণী চোখে পড়ামাত্রই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে, বিদায় বার্তা দিয়ে কি দল ছাড়ার সিদ্ধান্তই বোঝাতে চাইলেন তথাগত রায়? নাকি আাপাতত..ইন্টারভেল! অর্থাৎ সাময়িক বিরতি নিতে চাইলেন! পুরভোটের ফলাফলের পর আবার সক্রিয় হয়ে উঠবেন, এ কি তারই ইঙ্গিত ! সেটা সময়ই বলবে। ‘ফলেন পরিচীয়তে’।
ভারতে বেশ কিছু হিন্দু দের দাবি রয়েছে তারা একদিন ভারত কে হিন্দু রাষ্ট্র হিসাবে পরিচয়…
আজও কিছু মানুষের মধ্যে দেখা যায় বর্বরতার। আসামে হাইলাকান্ডির ঘটনা ৪জন কে আটক করে পুলিশ।…
বিজেপির সুফারিশ পেয়ে হলেন মাদ্রাস হাইকোর্টের জাজ! আজকাল কি তবে এই ভাবেই পাওয়া যায় কোনো…
কয়েকদিন ধরেই বেশ তোলপাড় চলছে সংসদ হচ্ছে একের পর এক বৈঠক মুলতুবি। সংসদ ভবন হোক…
রাজ্য জুড়ে চলছে রেশনের ধর্মঘট। জানা গিয়েছে আগামী ৭২ ঘণ্টা কেউ পাবেন না রেশন। কিন্তু…
বলিউডে লাভ বার্ডস দের মধ্যে আরেকটি জুটি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন। শুরু তে এই…