ফেসবুকের প্রেমিকের কারনে নিজের সন্তান কে মেরে ফেললেন মা !

গত জানুয়ারী মাসে ২০২১ সালে কেরলের কল্লাম জেলায় পাওয়া যায় একটি নবজাত শিশুর মৃত দেহ।

কেরলের কল্লাম জেলার কাল্লুভাতুক্কাল গ্রামের কোন এক জায়গায় শুকনো পাতার স্তূপের মধ্যে পাওয়া যায় সেই নবজাত শিশুটিকে। সেখান কার স্থানীয় বাসিন্দা রা শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর শিশুটির মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে চমকে ওঠেন পুলিশ কর্মী রাও।শিশু টির ডিএনএ রিপোর্টের সূত্র ধরেই পুলিশ পৌচেছেন সেই শিশুটির মা রেশমার কাছে।২২ জুন তাকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ।

পুলিশ তাকে জেরা করতেই জানা যায়, ফেসবুকে বহুদিন যাবত এক অন্য পুরুষের সাথে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছে রেশমা। তাই নিজের স্বামি (বিষ্ণু) কে ছেড়ে ওই ব্যাক্তির সাথে পালিয়ে যাওয়ার সিধান্ত নেন তিনি।

আর এই কারনেই নিজের পেটের সন্তান কে ওই শুকনো পাতার স্তূপের মধ্যে ফেলে আসেন। পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে জানতে পারেন ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট টি ছিল ফেক। পুলিশ ঘটনা তদন্তে জানতে পারেন রেশমা তার প্রেমিকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য যে সিম কার্ড টি ব্যাবহার করতো সেটি তার বোন আর্য্য দেওয়া।

এই ঘটনা তে সামিল আরও ২ জন ব্যাক্তি ছিলেন রেশমার কাজিন আর্য্য এবং তার ননদের মেয়ে গ্রীশ্মা। এদের দুজনের বাড়ি কাছাকাছি থাকায় এদের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল বলে জানা যায়।

পুলিশ রেশমার কাজিন আর্য্য এবং তার ননদের মেয়ে গ্রীশ্মা দুজনের কাছেই জেরা করলে জানতে পারে যে ওই ফেক অ্যাকাউন্ট টি থেকে তারাই রেশমার সাথে দীর্ঘ দিন যাবত কথা বলে। তারা নিজেদের দোষ স্বিকার করে এবং জানায় তারা এটি সম্পূর্ণ রকম ভাবে মজার ছলে করেছে। কিন্তু তাদের কারনেই একটি সদ্য নবজাত শিশু কে এভাবে মৃত্যু বরন করতে হয়েছে।

পলিশের জেরার কয়েক দিন পর থেকে খুজে পাওয়া জাচ্ছিল না ওই দুজন কে। পরে অবশ্য পুলিশের কাছে খবর পৌছায় নদী তে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই দুজন। মূলত লোকলজ্জা ও নিজের অপরাধী মনভবের কারনেই এরকম পদক্ষেপ নেয় তারা।

রেশমা কে পুলিশ হেফাজতে নিলেও করনা পজিটিভ হওয়ার কারনে নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে তাকে।