“দুর্গা প্রতিমার প্রতিমার পেছনে একটা বাঁশ থাকে, আমি সেই বাঁশ”। সংবাদ মাধ্যমে খোলাখুলি এই ঘোষণা করলেন শোভন পত্নী রত্না চ্যাটার্জী। কেন এত চটলেন তিনি?
যা ঘটেছে তাতে রত্নার মাথা ঠিক রাখা মুশ্কিল। বিজয়া দশমীতে সিঁদুর সিঁদুর খেলতে খেলতে বৈশাখীর সিঁথিতে সত্যিই সিঁদুর পরিয়ে দিলেন শোভন চ্যাটার্জী। আর তারপরেই বিস্ফোরক রত্না, “দেশে এখনও আইন আছে। ওঁরা বিয়ের কথা ভাবুক, তারপর আমিও দেখছি ” বলে কার্যত হুমকি ছুঁড়ে দিলেন তিনি।
শোভন-বৈশাখী সম্পর্ক নিয়ে অনেকদিন ধরেই নেটদুনিয়া উত্তাল। আর এই পূজো সিজনে দুজনের কার্যকলাপ সবাই চোখে দূরবীন লাগিয়ে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপেছেন। পূজোর আগে ছাদের কার্পেটে বৈশাখীর “তা তা থৈ থৈ” নাচের সঙ্গে শোভনের “তাই তাই তাই” হাততালি, সপ্তমীতে ভিক্টোরিয়ায় ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে ঘোরা কিছুই নজর এড়ায়নি। বৈশাখীর নাচ দেখেছেন আর শোভন নিজে কিছু করবেন না তা কি হয়! বৈশাখীকে পাশে বসিয়ে পিয়ানো বাজিয়েছেন প্রাক্তন মেয়র , ভুলভাল টিপছিলেন (সুর বিগড়ে যাচ্ছিল), সেটা শুধরেও দিয়েছেন বৈশাখী। পূজো পার্বণে এই পর্যন্ত মেনে নেওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু দশমীতে মাত্রা ছাড়ালেন শোভন। দু্র্গা মাকে সাক্ষী রেখে কপালে সিঁদুর! সাথে সাথে ক্লিক। ছবি ভাইরাল।
শোভনের এই আচরণকে রীতিমতো অশোভনীয় উল্লেখ করে শ্বশুরমশাই অর্থাৎ রত্নাদেবীর বাবা দুলাল দাস ফুঁসে উঠেছেন , “কারুর কপালে সিঁদুর দিলেই কি বিয়ে হয়ে যায়? ওঁরা কি স্বামী স্ত্রী হয়ে গেল এতে? এই ধরনের মেয়েদের আর কি হবে?” বলে দুলাল বাবু মেয়ে রত্নার পক্ষ নিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন।
নীল শাড়ি আর পাঞ্জাবীতে শোভনের সিঁদুর দানের ছবিটা দেখেও শুরুতে অনেকেই বিশ্বাস করেননি, ভেবেছিলেন ফেক ছবি। বৈশাখী নিজেই একটি সংবাদ মাধ্যমে জানান “ওটা আসল ছবি”। বৈশাখী আরও বলেছেন, “আমাদের মধ্যে স্বীকৃতির অভাব কোনও দিনই ছিলনা”।
ওদিকে রত্নাদেবীও পণ করেছেন শোভনকে কিছুতেই ডিভোর্স দেবেননা। তাই কি দশমীতে সিঁদুর খেলার সুযোগে শোভন আসল কাজটা করে বুঝিয়ে দিলেন! আইনত না হলেও, এটাও যে একধরনের প্রতীকী স্বীকৃতি! সেই আলোচনাতেই নেটদুনিয়া সরগরম।