মনে পড়ছে সপ্তপদীর সেই গানের কলি! “এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো …” সত্যিই পথ শেষ হয়নি। আপামর সিনেমাপ্রেমী আজও স্মরণ করে চলেছেন মহানায়ক উত্তম কুমারকে। আজ সেই মহানায়কের ৯৫ তম জন্মদিন।
১৯২৬ এর ৩ সেপ্টেম্বর তারিখে উত্তর কলকাতার আহিরীটোলায় জন্মগ্রহণ করেন বাংলা জলচ্চিত্রের এই ধ্রুবতারা।
অরুন কুমার চ্যাটার্জী থেকে উত্তম কুমার হয়ে ওঠার পথটা যদিও মসৃণ ছিলনা। ১৯৪৮ এ ফিল্ম কেরিয়ার শুরু করে বেশ কিছু ছবি করলেও ১৯৫৩ সালে মুক্ত ‘সাড়ে চুয়াত্তর ‘ ছবিটিই চলচ্চিত্রে তাঁকে পাকা জায়গা করে দেয়। এরপর ‘সাগরিকা’, ‘সপ্তপদী’, শিল্পী’ ‘হারানো সুর’ ‘দেয়া নেয়া ‘ সহ একের পর এক হিট ছবিতে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন নায়ক। আজও করে চলেছেন। পরবর্তী প্রজন্মের কাছেও মহানায়ককে ঘিরে সমান মুগ্ধতা।
১৯৫৭ সালে ইংরাজি উপন্যাস ‘রান্ডম হারভেস্ট ‘ থেকে নির্মিত অজয় করের ছবি ‘হারানো সুর ‘ সে বছর রাষ্ট্রপতির ‘সার্টিফিকেট অফ মেরিট’ সম্মাননা লাভ করে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিচালক সত্যজিৎ রায় ‘নায়ক ‘ ছবির পরিকল্পনা ও নির্মাণ করেন মূলত তাঁকে ঘিরেই। ‘নায়ক ‘ বাংলা চলচ্চিত্র ইতিহাসে একটি মাইলস্টোন হিসেবে বিবেচিত হয়।
এছাড়াও হিন্দি ছবি ‘ছোটি সি মুলাকাত’ ‘মেরা করম মেরা ধরম ‘ ছবিতেও মহানায়ক তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। পরিচালক হিসেবেও ছিলেন সফল। ‘বনপলাশীর পদাবলী ‘, ‘কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী ‘ ছবিতে আমরা ক্যামেরার সামনে ও পেছনে দুদিকেই উত্তমকুমারকে পাই।
১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আকস্মিক প্রয়াণ ঘটলেও মহানায়কের যাত্রার পথ আজও অব্যাহত।
আজকের এই দিনে ভয়েস ভারত স্মরন করছে বাংলা চলচিত্রের কিংবদন্তি মহা নায়ক উত্তম কুমার কে।