উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের হত্যা করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে কৃষকরা উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মিছিল ও বিক্ষোভ অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন। এ দিকে বিজেপিবিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল গুলিও এই গণহত্যার বিরোধিতা করেছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনা করছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা জানান, তিনি আগামীকাল লখিমপুর খেরি যাবেন। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীও আগামীকাল লখিমপুর খেরি যাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। সমাজবাদী দলের প্রধান অখিলেশ যাদবও যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস ও বিএসপির প্রতিনিধিদল কাল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মায়াবতী জানান।
ঘটনার নিন্দা করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘লখিমপুর খেরির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের কৃষকভাইদের প্রতি বিজেপির আচরণ আমাকে ব্যথিত করে। তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল আগামীকাল কৃষক পরিবারগুলির সঙ্গে সাক্ষাত্ করবে। কৃষকদের প্রতি আমাদের নিঃশর্ত সমর্থন রয়েছে।’
সমাজবাদী দলের প্রধান অখিলেশ যাদব বলেছেন, ‘প্রতিবাদী কৃষকদের পিষে মেরে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পুত্র। ঘটনাটি খুবই অমানবিক।’ এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের পদত্যাগ দাবি করেন অখিলেশ।বসপা নেত্রী মায়াবতী বলেন, ‘এই ঘটনায় বিজেপি সরকারের স্বৈরাচারিতা প্রমাণ হল। এটাই বিজেপির আসল মুখ।’
সমাজের বিশিষ্টজনরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন। ‘পরিপ্রশ্ন পত্রিকা’-এর পক্ষ থেকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে সঙ্গে অবিলম্বে অজয় মিশ্রর পদত্যাগ ও আশিস মিশ্রর গ্রেফতারি দাবি করা হয়েছে।