তথ্যপ্রমাণ লোপাট এর চেষ্টা করেছেন অনন্যা পাণ্ডে। মুছে দেওয়া বিভিন্ন তথ্য এই মুহূর্তে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।
তদন্তকারী সংস্থা চাঙ্কি-কন্যার কাছ থেকে তাঁর দু’টি ফোন এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে। সেখান থেকে মাদকচক্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছে এনসিবি।
সংবাদমাধ্যমের দাবী, অনন্যা নিজের ফোন থেকে কিছু কথোপকথন, ছবি, ভিডিয়ো, ভয়েস মেসেজ মুছে দিয়েছেন বলে অনুমান করছেন এনসিবি।
আরিয়ান খানের সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের কথা উঠে আসে।পরবর্তীতে অনন্যা এবং আরিয়ান, দু’জনেরই ব্যাঙ্কের নানা নথি, আর্থিক লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখা হতে পারে।
এনসিবি-র জেরায়, মাদক সংগ্রহ এবং আরিয়ানকে তা জোগান দেওয়ার কথা সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেন অনন্যা। বাল্যবন্ধুর সঙ্গে গাঁজা নিয়ে কথোপকথনকে নিছক মজা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অনন্যা। কিন্তু অনন্যা জানিয়েছেন, তিনি এমন এক ব্যক্তিকে চেনেন, যিনি আরিয়ানকে মাদকের জোগান দিয়ে থাকতে পারেন। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করতে সোমবার অর্থাৎ ২৫ অক্টোবর এনসিবি-র দফতরে আবার ডেকে পাঠানো হয়েছে অনন্যাকে।
আরিয়ান খানের জন্য চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু নিজেই যে মাদক-কাণ্ডে জড়িয়ে যাবেন, তা বোধ হয় স্বপ্নেও ভাবেননি অনন্যা পাণ্ডে। বৃহস্পতিবার আচমকা বাড়িতে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র হানা। তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় অনন্যা পাণ্ডে। এই কঠিন সময়ে প্রেমিকা, থুড়ি ঘনিষ্ঠ বন্ধুর পাশে দাঁড়ালেন ঈশান খট্টর।