বিধান নগরে সুজিত বসুর দুর্গাপূজোর খবর সবাই জানেন। দুর্গাপূজোর পর এবার কালীপূজোয় দুবাইয়ের সবচেয়ে বড় অট্টালিকা ‘বুর্জ খলিফা’ তৈরি হল বর্ধমানে, তাও আবার ১টা নয় ২টো।
বর্ধমানের দুটি ক্লাব যথাক্রমে আরএইউসি ক্লাব এবং ছোট নীলপুরের দিলীপ স্মৃতি সংঘ তাদের কালীপূজোয় ফিরে তৈরি করল সেই বিখ্যাত থিম –‘বুর্জ খলিফা’। প্রশ্ন জাগতেই পারে দুর্গাপূজোয় বিধাননগরের ওই থিমপূজোর হাজারো বিপত্তির কথা জানার পরেও পূজো কর্তারা এতবড় ঝুঁকি নিলেন কীকরে ?
হ্যাঁ, সেসব কিছু জেনেই দুবাইয়ের সবচেয়ে বড় অট্টালিকা ‘বুর্জ খলিফার’ আদলেই কালিপূজোর মন্ডপ তৈরি করেছে বর্ধমানের দুই ক্লাব। আরএইউসি ক্লাবের বাজেট প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। তবে এটাকে বলা হচ্ছে বুর্জ খলিফা-র ছোট সংস্করণ। তাও খুব ছোট নয় ৫০ ফুট। আরএইউসি ক্লাবের বুর্জখলিফা তৈরি হয়েছে বাঁশের কাঠামোর ওপর জি আই সিট দিয়ে।
আর দিলীপ স্মৃতি সংঘে ৪০ ফুট উচ্চতায় ধরা হয়েছে বুর্জ খলিফার আকৃতি। এবার তাদের ৪৫ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে এই জনপ্রিয় থিম। দিলীপ স্মৃতি সংঘের বাজেট অতটা না হলেও প্রায় দেড় লাখ টাকা। মন্ডপ তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে বাঁশের কাঠামোর ওপর টিনের পাত।
আর আলো! তার কী বন্দোবস্ত? হ্যাঁ, বুু্র্জ খলিফায় আলো তো থাকতেই হবে!
প্রসঙ্গত, বিধাননগরে আয়োজিত দুর্গাপূজো বুর্জ খলিফায় ব্যবহৃত লেজার আলোর উচ্চ বিকিরণের ফলে বিমান চলাচলের অসুবিধার কারণে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল লেজার আলোর খেলা। শেষপর্যন্ত উপচে পড়া ভিড় ঠেকাতে না পেরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।
সেই অভিজ্ঞতা থেকেই শিক্ষা নিয়ে এবারের কালীপূজোয় বর্ধমানের দুই ক্লাবে ভিড় ঠেকানোর সম্পূর্ণ বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে। মানা হচ্ছে কোভিড আচরণ বিধি। আরএইউসি ক্লাবের পূজো কমিটির সেক্রেটারি জহর হাজরা জানিয়েছেন আলোর খেলা থাকছে তবে ‘লেজার আলো’ নয়, স্পার ও সার্ফি লাইট ব্যবহার করা হয়েছে।
তাতেই জমে উঠেছে চোখ ধাঁধানো আলোর ছটা আর রঙ বদলের খেলা। দিলীপ স্মৃতি সংঘের বুর্জ খলিফাতেও অনেকটা তেমনই আলোর খেলা সাথে মিউজিকে জমকালো মন্ডপ দর্শনার্থীদের চোখ টানবেই। কেননা ছোট সংস্করণ হলেও, বর্ধমানের ২ বুর্জ খলিফা বিধাননগরের বুর্জ খলিফার চেয়ে কম কিছু নয়!