মহাকাশে এই প্রথম ভয়ঙ্কর মহারাক্ষস ‘গডজিলা’র হদিশ মিলল।
মহাকাশে পাঠানো নাসার স্পিৎজার টেলিস্কোপেই দেখা গেল গডজিলা। সৌরমণ্ডল থেকে খুব একটা দূরে না পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব ৭ হাজার ৮০০ আলোকবর্ষ।স্যাজিটারিয়াস নক্ষত্রপুঞ্জে।এই স্যাজিটারিয়াস নক্ষত্রপুঞ্জে যা কিনা একটি নেবুলায় অবিকল গডজিলার মত দেখতে পাওয়া গেল।
গডজিলার কাছে মাথা নোয়ায় কিং কংও দেখা গেল।যে মহাসাগরের অতল থেকে উঠে এসে তছনছ করে দেয় সব কিছু। হাজার হাজার কামানের গোলা ছুড়েও মারা যায় না যাকে।জাপানে পরমাণু বোমার ভস্ম থেকে যার জন্ম বলে মনে করা হয়। যাকে নিয়ে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র হয়েছিল ১৯৫৪ সালে। ২০২১ সালে হলিউডে ‘গডজিলা ভার্সাস কং’ নামে শেষ ছবি হয়।
২০০৩ সালে নাসা মহাকাশে পাঠায় স্পিৎজার টেলিস্কোপ যা ব্রহ্মাণ্ডের নানা দিকের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছে।২০২০ সালে স্পিৎজারের কাজ শেষ হয়ে যায়। এখন সেই টেলিস্কোপের পাঠানো ছবিগুলি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষন করে দেখছেন। তাতে ধরা পড়ছে আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বিভিন্ন তারামণ্ডল। সেখানকার জমাট বাঁধা গ্যাস ও ধূলিকণার অত্যন্ত পুরু মেঘের স্তর বা স্তম্ভগুলি। এদের থেকেই ধীরে ধীরে তৈরি হয় তারামণ্ডল, গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণু এমনকি ধূমকেতুও। জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায়, সেই জমাট বাঁধা গ্যাস ও ধূলিকণার অত্যন্ত পুরু মেঘের স্তর বা স্তম্ভগুলিকে বলা হয় ‘নেবুলা’।
সৌরমণ্ডল, পৃথিবী-সহ অন্যান্য গ্রহ ও তাদের উপগ্রহ, এই সৌরমণ্ডলের গ্রহাণুপুঞ্জ, সৌরমণ্ডলের একেবারে শেষ প্রান্তে থাকা বরফের মহাসাম্রাজ্য ওরট্ ক্লাউডও তৈরি হয়েছে এমন নেবুলা থেকেই।
স্পিৎজার টেলিস্কোপের পাঠানো ছবি গুলো যাঁরা গবেষণা করছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীনিবাস রঙ্গনাথ।