কত না রঙ্গ শোনা যায়।কত কিছু না ঘটে চলছে এই বিশ্বে।তেমনি একটা আশ্চর্য কাহিনী হল ইভোর কাহিনী। ইভো জারস্কাই প্লেন বানিয়ে অজানা ভাইরাসের ভয়ে পালালেন। ফেলে দেওয়া ভাঙা চোরা জিনিস দিয়ে একটি আস্ত প্লেন বানিয়ে ফেলা তাঁর বাঁহাতের কাজ। বড়াই করা ,লোক দেখানো ইভো জারস্কাইয়ের স্বভাবে নেই। তিনি মার্জিত,বীনয়ী ভাবেই কথা বলেন। লজ্জা পান ভীষন প্রশংসা শুনতে। ভয় পান অজানা এক ভাইরাসের কথা ভেবে।
ইভো ১৩বছর ধরে একটা শহরে এক গুহার মধ্যে বসবাস করেন।ইভোর অদ্ভুত ধারণা, জম্বি ভাইরাস নাকি খুব শীঘ্রই পৃথিবী দখল নিতে আসছে।করোনার থেকেও খুব ভয়ানক হবে সেই জম্বি ভাইরাস।তাই আগে ভাগে তিনি পালিয়ে গেছেন। ২০০৭ সাল থেকেই জনমানবহীন লুসিন শহরে একলা থাকতে শুরু করেন ইভো। আমেরিকার উটাহর লালমাটির রুক্ শহরে তিনি একা থাকতে চলে আসেন। কোনও প্রাকৃতিক গুহা নয় বরং কাঠ মাটি দিয়ে নিজেই গুহা বানিয়েছেন নাম দেন ‘ম্যান কেভ’। আত্মরক্ষার জন্যও ইভোর ম্যান কেভে রয়েছে আধুনিক অস্ত্র শস্ত্র।রয়েছে রাইফেল এমনকি পিস্তলও।এই ‘গুহা’য় রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ,ইন্টারনেট সহ টিভিও রয়েছে। নিয়মিত জলের সরবরাহও ব্যবস্থা করা তাঁর।
ইভোর একজন সফল শিল্পপতি হন তা স্বত্বেও এমন অদ্ভুত চিন্তা কেন? তাঁর সংস্থা প্লেন, হেলিকপ্টারের প্রপেলার বানায়। ইভোর সংস্থার প্রপেলারের বেশ নাম আর চাহিদাও আছে বিশ্ব বাজারে। প্রথমে ব্যবসার কথা মাথায় রেখে প্রপেলার বানানোর কাজ শুরু করেনি শখেই প্লেন বানানোর কাজ শুরু করেন।পরে এটি ব্যবসায় রূপান্তরিত হয়।
চেকস্লোভাকিয়ার মানুষ ইভো ,বর্তমানে আমেরিকায় থাকে।তাঁর দেশে রাজনৈতিক অভ্যূত্থান এরকারনে তাঁর পালিয়ে আসা পরিবারের সকলকে ছেড়ে ।ইভোর ধারণা রেলরোড ঘিরে গড়ে ওঠা জমজমাট জনবসতি যদি এমন পরিত্যক্ত হয় তবে পৃথিবীর যে কোনও শহরেরই এই পরিণতি ঘটবে। করোনা অতিমারি পরিস্থিতি তাঁর ধারণা দৃঢ় করে তুলেছে।মারত্মক জম্বি ভাইরাসের কল্পনা করে তার থেকে পালানোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন তিনি। অতিমারির পর থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য