আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন আরিয়ান জেলের সূত্রে এমনই জানা যাচ্ছে। তাঁকে এই অবস্থায় বই পড়ে সময় কাটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দিন কুড়ি হয়ে গেল,আর্থার রোড জেলের রুদ্ধদ্বার কক্ষই এখন আরিয়ান খানের বর্তমান ঠিকানা। জেলের জীবনযাত্রার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছেন না শাহরুখ তনয়। বিশেষ কোন রকম কথাও বলতে চাইছেন না কারও সঙ্গে। বই পড়েই সময় কাটাচ্ছেন তিনি। জেলের গ্রন্থাগার থেকে দু’টি বই ধার নিয়েছেন আরিয়ান— ‘গোল্ডেন লায়ন’ নামের একটি উপন্যাস এবং রাম-সীতা সংক্রান্ত গল্পের একটি বই।
জেলের গ্রন্থাগারে বিভিন্ন ধর্মীয় এবং অনুপ্রেরণামূলক বই থাকে। এছাড়া আত্মীয়দের থেকে বই আনাতে পারেন। কিন্তু সেগুলি ওই নির্দিষ্ট দু’টি বিষয়ের মধ্যে যে কোনও একটি হতে হবে।
আরিয়ানের কাউন্সেলিং চলছে । নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। এনসিবি সূত্রে খবর সমীরকে আরিয়ান কথা দিয়েছেন, তিনি যা করেছেন, তার পুনরাবৃত্তি আর কখনও হবে না। আরিয়ানের আশ্বাস, ভবিষ্যতে তিনি একজন সুনাগরিক হয়ে উঠবেন। অভিযুক্তদের গীতা, কোরান, বাইবেলের মতো ধর্মীয় বইও দেওয়া হয় জেলে। সেই সব বই পেয়েছেন আরিয়ানও। এর আগে জেলে বসেই বিজ্ঞানের বই চেয়েছিলেন আরিয়ান। তাঁর দাবি মতো কয়েকটি বই এনেও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
বই হলো একাকিত্বের সঙ্গী। সকলের জীবনে ভালো এবং খারাপ সময় আসে তখন এই সময় গুলো অতিক্রম করতে বইয়ের চেয়ে ভালো বন্ধু আর কিছু হয় না।