দলবদলের পরেও কেন সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেননা, এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাবুল সুপ্রিয়কে। সম্প্রতি এক মূল্যবান ট্যুইটের মাধ্যমে এর জবাব দিয়েছেন বাবুল।
“আমি চিরকাল এক পক্ষের সমর্থক। চিরকাল মোহনবাগানকেই সমর্থন করে এসেছি, বাংলায় একমাত্র বিজেপিই করেছি”। বলেছিলেন তিনি। তিনি বাবুল সুপ্রিয়।
বিজেপি ছাড়ার শুরুর দিন থেকেই রাজনৈতিক মহলে কানাকানি শুরু হয়েছিল। বাবুল সুপ্রিয় নির্ঘাত তৃণমূলেই যাবেন। তারই প্রত্যুত্তরে বাবুল বলেছিলেন ,”আমি কোনো দলে যাচ্ছিনা। কংগ্রেস, তৃণমূল কোনো দলেই নয়”। একথা নিশ্চিত জানিয়ে রাজনীতিকেই ‘আলবিদা’ জানিয়ে চলে যাবেন এমনও ইঙ্গিত করে বলেছিলেন,”সমাজসেবা রাজনীতিতে না থেকেও করা যায়”।
সেই বাবুম সুপ্রিয়ই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বলেন,”মানুষের জন্য কাজ করাটাই আসল উদ্দেশ্য, সেটা দিদির নেতৃত্বে করতে পারলে আমার ভালো লাগবে”।
মানবদরদী বাবুল সুপ্রিয় দলবদল করেছেন তা নিয়ে বিতর্ক হওয়াই স্বাভাবিক, হয়েছেও। কিন্তু বিজেপির সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না কেন? এই প্রশ্ন নিয়ত বিদ্ধ করে চলেছে বাবুলকে।
ট্যুইটারে তাঁর সদুত্তর দিয়েছেন তিনি। বাবুল লিখেছেন,”মাননীয় স্পিকারের উচ্চ কার্যালয়ে সাক্ষাতের সময় চেয়ে আমি চিঠি পাঠাই। স্যারের কার্যালয় থেকে সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারও করা হয়েছে। আবারও একই অনুরোধ জানাচ্ছি”।
বিজেপির দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ক্রমাগতই বাবুলের পদত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। এবার এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাবুল স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছেন, পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত তিনি।লোকসভার মাননীয় স্পিকার ওম বিড়লা এখনও সময় দিতে পারেননি বলেই সেটা সম্ভব হয়নি। স্পিকার সময় দিতে রাজি হলেই বাবুল সুপ্রিয় সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।
প্রমাণ স্বরূপ ওম বিড়লাকে প্রেরিত সেই চিঠিটাও বাবুল সুপ্রিয় ট্যুইটের সাথে রেখেছেন।