ত্রিপুরায় বিরোধী হিসেবে বামে-তৃণমূলে গলায় গলায় ভাব দেখা যাচ্ছে । পশ্চিমবঙ্গের হিসেব কিন্তু তা নয়, সেটা হাড়ে হাড়ে মনে করিয়ে দিলেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
ত্রিপুরার পুরভোট নতুন করে সংঘটিত করার দাবি জানিয়ে সম্প্রতি এক সুরে সুর মিলিয়েছে তৃণমূল ও সিপিএম। অপরদিকে ওই ত্রিপুরাকে উদাহরণ হিসেবে রেখেই পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসকে এক হাত নিলেন সুজন চক্রবর্তী। আজ একটি ট্যুইটে সুজন বলেছেন , “ত্রিপুরায় ভোটে প্রহসন। গণতন্ত্রকে খুন করা হল। যেন এরাজ্যেরই জলছবি। বিধাননগরের পুরনির্বাচনে আক্রান্ত ২১ সাংবাদিক। মাননীয়া বললেন, মিথ্যা। কিছুই নাকি ঘটেনি! একই প্রতিধ্বনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তৃণমূল-বিজেপি একই প্রতিচ্ছবি…”
যে প্রতিচ্ছবি তুলে ধরতে চেয়েছেন সুজন চক্রবর্তী, সেই দাবিতে এরাজ্যের বিজেপি সমর্থকরাও সরব। তাহলে কি প্রকৃতই শাসক আর বিরোধীর অবস্থান গত পার্থক্যই ঘটনা নির্ধারণ করে?
প্রশ্নটা উঠছে, কেননা শাসক হিসেবে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা এক, সুজন বাবু এমনটাই উল্লেখ করতে চেয়েছেন। তাহলে একই ইস্যুতে বামেরা ত্রিপুরায় এক সুরে সুর তুলে ত্রিপুরা সরকারের প্রতিবাদে মুখর হচ্ছে কীকরে?
বহুদলীয় গণতন্ত্রের রীতিই কি তাই? অবশ্য বামনেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য অনুযায়ী গণতন্ত্রকে যদি ‘খুন’ করা হয়ে থাকে তাহলে তো কথাই নেই।
উল্লেখ্য,আলোচ্য বিষয়ের সারমর্মে এসে সেই সুজন চক্রবর্তীও ট্যুইটের শেষে বলেছেন,”ত্রিপুরায় পুনর্নির্বাচন অবশ্যই জরুরী”। এই বাক্যে সিপিএম -তৃণমূল সহমত হচ্ছেন কীভাবে?
হচ্ছেন বোধহয় এই কারণে, আক্রান্ত হয়েছেন তারাও। গণতন্ত্র বিপদগ্রস্ত হলে পিঠ বাঁচাতে সেই তৃণমূলের সাথে বঙ্গেও মিলিত হতে পিছপা হবেনা সিপিএম; কেননা মিলিত হবার অভ্যেসটা তাঁদের অনেক পুরোনো। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের একাংশের মত এটাই।