শনিবার ভোটপ্রচারের শুরু থেকেই বিজেপির কাছে চরম হেনস্থা এবং আক্রমণের শিকার হচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। রবিবারই ৩০৭ ধারায় গাড়িচাপা দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। যদিও এটাকে চক্রান্তই বলছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও নেতৃবৃন্দ। শুধু তাই নয়, সায়নী ঘোষকে থানায় ডেকে থানার বাইরে বিজেপির ভাড়া করা দুস্কৃতীরা হেলমেট পরে এসে তৃণমূল কর্মীদের ওপর অতর্কিতে ইটবৃষ্টি শুরু করে। এর সপক্ষে ভিডিও পর্যন্ত পেশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে ত্রিপুরা সরকার রক্ষকের বদলে হামলাকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া সত্ত্বেও তাঁদেরই সমর্থনে গলা চড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপী নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
লকেট এদিন সংবাদমাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংলাপ ধার করেই প্রত্যুত্তরে বলেন, “ত্রিপুরায় কোনও খেলা হবেনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় হিংসার রাজনীতি করেন, সে রাজনীতি ত্রিপুরায় কিছুতেই আমদানি করা চলবেনা “। লকেটের মতে ২০২৪ এর নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের নেতৃত্বকারী প্রধান মুখ হলে সে লড়াই হবে হিংসার সাথে আদর্শের। আদর্শের প্রতিভূর তুলনা টেনে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর মতো একজন আদর্শ মানুষের সামনে হিংসার কোনও স্থান নেই”।
পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা মনে করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্লোগান ধরেই লকেট এর নিজস্ব ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “খেলা হবের অর্থ ৬০ জন দলীয় কর্মীর মৃত্যু। খেলা হবের অর্থ এক লক্ষ বিজেপি কর্মীর ঘরছাড়া হওয়া। খেলা হাবের অর্থ মা বোনেদের ধর্ষণ। বাংলায় যদি খেলা হবের এই অর্থ হয়, তবে ত্রিপুরায় কোনও খেলা হবেনা, ত্রিপুরায় বিকাশ হবে”।
অপরপক্ষে, এদিন ত্রিপুরায় পৌঁছেই সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ত্রিপুরায় নৈরাজ্যের পরিবেশ চলছে। বিরোধীদের সভা করার অনুমতি নেই! সংবাদমাধ্যম পর্যন্ত আক্রান্ত ! দমন পীড়নের ঘটনায় রোজ রেকর্ড ভাঙছে বিজেপি। থানার ভেতরে আক্রমণ হচ্ছে অথচ পুলিশ নীরব দর্শক “।
পুরভোট নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত তৃণমূল নেতা বলেন, “বিপ্লব দেবের ইন্ধনে ২২ নভেম্বর এই অবস্থা হলে, ২৫ নভেম্বর ভোট কীকরে হবে? “
এই পরিস্থিতির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়য়ের বক্তব্য মেলানো মুশ্কিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।