করোনা পরিস্থিতি এং পূজো পার্বনকে সামনে রেখে ৪ঠা নভেম্বর পর্যন্ত সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ত্রিপুরায়। উল্লেখ্য এই বুধবারই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক মিছিলের কথা ছিল।
আদালতের অনুমতি না মেলায় সে মিছিল আপাতত স্থগিত রাখা হয়। তার বদলে ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আরও বড় একটি অনুষ্ঠানসূচী। যে অনুষ্ঠানকে কেউই আটকাতে পারল না।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন। অনুমতি রদ করায় আতান্তরে পড়বে বলেই মনে করেছিল ত্রিপুরার বিজেপি সরকার মহল। কিন্তু কার্যত তা ঘটল না।
আদালতের আইন মেনে মিছিল হলনা ঠিকই, তার বদলে ত্রিপুরায় সব আইনকে পাশ কাটিয়ে হয়ে গেল তৃণমূল আয়োজিত ‘যোগদান মেলা ‘। এই মিলন মেলায় ত্রিপুরার কংগ্রেস নেতা বিপটু চক্রবর্তী এবং তাঁর ৫২৮ জন অনুগামী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন।
এই বিপুল সংখ্যক মানুষের কংগ্রেস থেকে তৃণমূল যোগ দেওয়াকেই ‘মেলা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যার জন্য সম্ভবত ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহল প্রস্তুত ছিলেন না। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ত্রিপুরাতেও তাহলে দলবদল শুরু হয়ে গেল?
ত্রিপুরার প্রদেশ তৃণমূল সভাপতি আশিসলাল সিংহ বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই বলেছেন,”আগামী দিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে তৃণমূলে যোগ দান অব্যাহত থাকবে”।
আশিস বাবু যদিও জানান এই যোগদান কর্মসূচি আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। তৃণমূলের এই ‘যোগদান’ কর্মসূচিতে তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব, রাজ্যসভার সদস্য শান্তনু সেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই ঘটনা দিয়েই ত্রিপুরায় তৃণমূলের বিস্তার শুরু হয়ে গেল বলেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন।