ত্রিপুরার ডিজিপি এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটার মধ্যে জানাতে হবে যে ক্রমাগত রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করতে ত্রিপুরা সরকার কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
এছাড়াও নির্বাচনের দিন থেকে ফলপ্রকাশ পর্যন্ত কী কী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হবে তা জানাতে চেয়েছে সুপ্রিমকোর্ট । তৃণমূল নেতৃত্ব সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে।মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টে সেই মামলার শুনানি হয়।
ত্রিপুরায় পুর নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক হানাহানি চলছে । যেখানে রাজনৈতিক কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে গাড়ি ভাঙ্গচুর চালানো হচ্ছে সেখানে মানুষ কিভাবে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে যাবে। পরপর হিংসার ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্ৰেপ্তার হয়নি। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব ত্রিপুরার রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে আগে ও সুপ্রিমকোর্টে মামলা করেছিলেন।
সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিমকোর্ট জানিয়ে ছিল পুরভোট অবাধ এবং সুষ্ঠু ভাবে করতে হবে কোন রাজনৈতিক দল যেন ভোট প্রচারে নেমে বাঁধার সম্মুখীন না হয়।শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে ভোট প্রক্রিয়া চলে তার নির্দেশ দেয়া হয়। রবিবার তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন।পরে অবশ্য পথ সভার অনুমতি দেওয়া হয়। এই সব ঘটনার জেরে বেশ কিছু দিন ধরে এখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক নেই বলে মনে করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের উপর হামলা করছে বিজেপি এমনি অভিযোগ করে