তখন সবে ভোর হচ্ছে। পূজোপার্বণ সাঙ্গ হলেও রেশ কাটেনি পুরোপুরি। পাড়ায়, প্রাঙ্গণে এলাকা এলাকায় সদ্য প্রতিমা বিসর্জনের সুর ভেসে আসছে দূর থেকে। সেই সময় মাঠে কাজ করতে গ্রামেরই স্থানীয় দুএকজন লোক আবিষ্কার করলেন এক তরুনীর অচৈতন্য দেহ।
হ্যাঁ ঠিক এমনটাই ঘটল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। ভোরবেলা গ্রামেরই স্থানীয় কিছু মানুষ জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখলেন তরুনীর সংজ্ঞাহীন দেহ। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই তরুনীর চিকিৎসা চলছে।
তরুনী ডিভোর্সী ছিলেন। দুটি সন্তান আছে। সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকতেন। দুর্গাপূজোর আগে একটি ছেলের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়। স্বাভাবিক ভাবেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। গ্রামের স্থানীয় খবর সূত্র অনুযায়ী
দশমীর রাতে ওই বন্ধুর সাথে মোটরবাইকে করে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন তরুনী। তারপর আর ফেরেননি। স্বভাবতই নিখোঁজ মেয়েটিকে নিয়ে গ্রামে শোরগোল পড়ে যায়। শেষে জানা যায় –এক জঙ্গলে ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়েছে তাকে। সন্দেহের তীর ওই বন্ধু যুবকটিরই দিকে কারণ এই ঘটনার পর থেকে সেই ছেলেটিও নিখোঁজ।
তবে কি ঘনিষ্ঠ বন্ধুর দ্বারাই প্রতারণার শিকার হল ওই তরুনী? বন্ধুই ধর্ষণ করে জঙ্গলে ফেলে গেল তাকে! প্রাথমিকভাবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। কেননা, তরুনী ভীষণরকমই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এখনও তার মুখের বয়ান নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় উদ্ধারকারী লোকেরাই মেয়েটিকে জামতাড়া ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে অবস্থা জটিল হওয়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসপাতালে মেয়েটিকে দেখতে যান। খোঁজ খবরও শুরু করেন।
খবর সূত্র অনুযায়ী তরুনীকে নেশা করিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে। তরুনীর মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট ও বয়ান পেলে ঘটনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে। মেয়েটির বন্ধু অর্থাৎ ওই নিখোঁজ যুবকের অনুসন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।