রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরানো হল দিলীপ ঘোষকে। গত রাতেই আচমকা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দিলীপ ঘোষকে তাঁর নিযুক্ত পদ থেকে সরায় বিজেপি।
দিলীপবাবুর জায়গায় রাজ্য সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ ড. সুকান্ত মজুমদার।
সাংগঠনিক স্তরে দিলীপ ঘোষ মহাশয় কে দল অন্য দায়িত্ব দিয়েছে।
বিজেপির সাথে দিলীপ ঘোষের সম্পর্ক অনেকদিনের। ছাত্রাবস্থায় আরএসএসে যোগদান করার পর দীর্ঘকালীন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যান এই অভিজ্ঞ বিজেপি নেতা। ২০১৪ সালে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন।
বাংলায় বিজেপি দলের শাখা বিস্তারে দিলীপ ঘোষের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়। প্রথম দফায় ২০১৮ সাম পর্যন্ত রাজ্য সভাপতির পদে অধিষ্ঠিত থাকলেও পরের বছর দ্বিতীয় দফায় আবারও রাজ্য সভাপতি নিযুক্ত হন তিনি।
তবে একদিকে যেমন সাংগঠনিক স্তরে বাংলায় বিজেপিকে শক্তি যুগিয়েছেন, তেমনই একাধিকবার ‘আলটপকা’ মন্তব্যে দল এবং নিজেকে বেকায়দায়দায় ফেলেছেন এই অভিজ্ঞ নেতা।
সম্প্রতি রাজ্যের বিজেপি দলে ভাঙন শুরু হওয়ায় দল ভীষণরকম চিন্তিত। তাই কি রাজ্যস্তরের দায়িত্বপদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত! নাহলে এত তাড়াহুড়ো কিসের?
রাজ্যসভাপতি পদের মেয়াদ এখনও যে ১৫ মাস বাকি ছিল তাঁর! সে কারণেই অমন সংশয় প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তবে নিযুক্ত পদ থেকে সরে গেলেও এমন মনে করার কারণ নেই, যে তিনি অপসৃত হয়েছেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বরিষ্ঠ নেতা দিলীপ ঘোষকে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে নিযুক্ত করেছেন।
দিলীপবাবু এই পদ পেয়ে গর্বিত।