গত রবিবার তালিবান এর কাবুল দখলের পরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। এই নিয়ে আলোচনার শিকারও হন তিনি। এমন কি তার উপর দেশের কোষাগার থেকে টাকা নিয়ে পালানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুধে। কাজাকিস্তানে থাকা আফগান রাস্ট্রদুত দাবি করেন দেশ ছাড়ার সময় ১৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডর্লার চুরি করে পালিয়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট।
এই সমস্ত ব্যাপার নিয়ে পরে অবশ্য মুখ খুলেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট । তিনি সকল কে জানান যেই অবস্থায় তিনি দেশ ছেড়েছেন সেখানে তিনি পায়ের চটি খুলে বুট পড়ায় সময় টুকুও পাননি । তার পরনে ছিল শুধু একটি সাধারন গেজ্ঞি এবং পায়ে চটি এই নিয়েই দেশ ছেড়ে যেতে হয় তাকে। তিনি দেশের কোষাগার থেকে টাকা নেওয়ার কথাও খারিজ করে দেন।
সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মানোবতার খাতিরে এখানে জায়গা দেওয়া হয়েছে আশরাফ ঘানি ও তার পরিবারের বাকি সদস্য দের। তার পরেই আশরাফ ঘানি ফেসবুকে একটি ভিডিওর মাধ্যমে জানান এই সব কথা এবং খারিজ করেন তার উপর লাগানো সমস্ত রকম অভিযোগ।
বহু রিপর্টে দাবি করা হয়েছিল আশরাফ ঘানি নিজের অনুগত কয়েকজন কে নিয়ে কাজাকিস্তান, ওমান বা উজবেগিস্তানে লুকিয়ে রয়েছেন। কিন্তু পরবর্তি তে নিজেই ফেসবুকের মাধ্যমে দেশ ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করেল আফগান প্রেসিডেন্ট ঘানি। তিনি জানান দেশে যাতে রক্তবন্যা না হয় তাই তিনি দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত বুধবারে আবারও তিনি এই একই কথা প্রকাশ্যে আনেন। তিনি নিজের বক্তব্য তে বলেন আমি এখন আরব আমিরশাহি তে রয়েছি, দেশে যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় তাই আমার এরকম সিদ্ধান্ত। আর আমার দেশে থাকলে যে ভাবে রক্তবন্যা বোইতো তা থেমে যাওয়ার আশাতে আমি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছি।
আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি আরো বলেন আমি যদি দেশে থাকতাম তাহলে আফগানদের চোখের সামনে আরও একবার আফগানিস্তানের একজন নির্বাচিত রাস্ট্রপতি কে ঝুলিয়ে রাখা হতো ঠিক যেমন টা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাজিবুল্লাকে খুন করে সাধারন মানুষের সামনে ঝুলিয়ে রেখেছিল তালিবান। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির দেশ ছেড়ে পালানোর কারনে তার উপর বিভিন্ন রকম অভিযোগ তোলা হয় তার সাফাই দিতেই সোশাল মিডিয়ার সাহারা নিতে হয় ঘানি কে।