মৃতদেহ নিয়ে সৎকার করতে যাচ্ছিলেন পরিবার পরিজন। রাস্তাতেই ভয়ানক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন তাঁরাই, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি অনেকেই।
নদীয়ার হাঁসখালিতে সকাল ৯টা নাগাদ ওই দুর্ঘটনা ঘটে। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা অঞ্চলের এক বৃদ্ধা শিবানী মুহুরি মারা যান গতকাল রাতে। শববাহী লরিতে করে মৃতদেহ সৎকারের জন্য নবদ্বীপ শ্মশানের উদ্দেশ্যে রওনা হন পরিবার পরিজন প্রতিবেশি মিলিয়ে ৩০ জনের মতো সহযাত্রী। যাওয়ার পথেই শববাহী লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীয়ার ফুলবাড়ী এলাকায় হাঁসখালি- কৃষ্ণনগর রাজ্যসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পাথরবোঝাই লরিতে এসে ধাক্কা মারে।
ভোররাতে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় সাথে সাথে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান অনেকেই। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে বাকিদের শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর বেশিরভাগ জনকেই মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃতদের মধ্যে ৬ জন মহিলা ও ১ জন শিশুও ছিল। এখনও গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কয়েকজন।
তবে সংবাদ সংস্থা মারফত পাওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে, ওই এলাকাটি এমনিতেই দুর্ঘটনা প্রবণ। নদীয়ার ফুলবাড়ীর ওই রাস্তাটি সরু এবং বালি পাথর আকীর্ণ হয়ে থাকে সবসময়। রাস্তা মেরামতের গাফিলতির ফলে এই রাস্তায় একাধিক বার দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এদিনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শুধু ওই অঞ্চল নয়, শিউরে উঠেছে গোটা দেশবাসী।
ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা, এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবেন ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘটনায় দুর্গতদের শোকবার্তা পাঠিয়ে ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় ঘটে যাওয়া পথ দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো মানুষদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ঈশ্বর ওনাদের এই কঠিন পরিস্থিতিতে সহায় হোন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি”।