কলকাতার বুকে একাধিক নামী বেসরকারি হাসপাতালে বিরুদ্ধে অঙ্গ চুরি করে বেচে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বহু সময়।করোনা কালেও এই অভিযোগ ঘুরে ফিরে সামনে আসেছে, অনেক হাসপাতালের বিরুদ্ধে।এবার এমনই এক অভিযোগ উঠে এল বেসরকারি এক হাসপাতালের বিরুদ্ধে।করোনায় ভর্তি হওয়ার পর মৃত্যু হয়েছিল কাকলি সরকার নামে এক রোগীর।পরিবারের দাবীতে, এনআরএস হাসপাতালের তিন জন চিকিৎসককে নিয়ে মৃত্যু কারণ খুঁজে বার করতে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
এই চিকিৎসক দল কাকলির শরীরে অঙ্গগুলি ঠিক আছে কি না তা খতিয়ে দেখবেন।কাকলির দেহ বর্তমানে সাগরদত্ত হাসপাতালে রয়েছে।নতুন করে সেখানে ময়নাতদন্তের কাজ করবেন এই চিকিৎসক দল।এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা দ্বিতীয় বারের জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।কাকলি দেবীর পরিবার অভিযোগ করেন মৃত্যু হওয়া ঐ নার্সিংহোমে কাকলি দেবী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২২ এপ্রিল ভর্তি হন।হঠাৎই পরিবারের কাছে ফোন যায়, কাকলিদেবীর শারিরীক অবস্থার অবনতি হয়েছে।কাকলি সরকারের ভাই নার্সিংহোমে আইসিইউতে ঢোকার পর তাঁর দিদি ভাইকে জানান ভর্তি থাকা নার্সিংহোমে অঙ্গ পাচারের একটা চক্র আছে ও সক্রিয় ভাবে কাজ করছে। মৃত রোগীদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করেছে সেই চক্র।অভিযোগ উঠে যে ভাইকে এই কথা বলার পর এক জন নার্স ততক্ষনাৎ কাকলিকে একটি ইনজেকশন দেন।এরপর ২৫ এপ্রিলই কাকলির মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর পরিবার ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর একাধিক লক্ষন দেখা যায় যা করোনায় মৃত্যুর লক্ষণ নয় বলে নিশ্চিত।ময়নাতদন্তের পর পরিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান নির্দেশ দিয়েছেন যে ঐ বেসরকারি হাসপাতালে কোনও রোগী ভর্তি করতে পারবে না ও ক্ষতিগ্রস্তদের দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মৃত কাকলি সরকারের পরিবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে হাই কোর্টে দাবি করে ৩০৪ নয়, ৩০২ ধারায় মামলার তদন্ত শুরু করার।তাঁরা সিআইডি বা অন্য কোনও তদন্ত সংস্থাকে দিয়ে এর তদন্ত করানো করার কথাও বলেন।সত্যকে যে কোন মূল্যে সামনে আনতে বলেন। কেন একাধিক বার এই অঙ্গ পাচার চক্রের সঙ্গে বেসরকারি নামী হাসপাতলের বা নাসিংহোমের নাম উঠে আসছে?কেনই বা কোন বড় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না চক্রের বিরুদ্ধে।তবে কি সরষের মধ্যেই ভূত থেকে যাচ্ছে বারংবার