রাজ্য রাজনীতির লড়াই বাস্তবেই দ্বিমুখী হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাম-কংগ্রেস মাঝে মাঝে গলা বাড়িয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিলেও গোটা দেশে তৃণমূলই যে বিজেপিকে ঠেকানোর জন্য একমাত্র শক্তিশালী দল তা রাজনীতি মহলের অনেকেই একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন। চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কেউ কাউকে এক বিন্দু জমি ছাড়তে রাজি নন। অভিষেক গলা চড়ালে সুকান্তও যে কম যাননা, সেটাই এবার বুঝিয়ে দিলেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপনির্বাচনের প্রচারে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও মমতার একচ্ছত্র ক্ষমতার কথাই জোর গলায় বলে গেছিলেন। সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি ঘোষণা করেন, “কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত আওয়াজ উঠেছে, দেশ কি নেত্রী ক্যায়সি হো! মমতা দিদি য্যায়সি হো”।
আর এবার তার পাল্টা জবাব দিলেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গোসাবার মাটিতে দাঁড়িয়েই সুকান্তর পাল্টা কটাক্ষ, “যতটা না পিসিকে দিল্লীতে পাঠানোর ইচ্ছে, ভাইপোর এ রাজ্যে বসার ইচ্ছে তার থেকে বেশি “। গোসাবার বেলতলির প্রচারসভার এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুকান্ত প্রকাশ্যেই দাবি করলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে পিসি-ভাইপোর মধ্যে লড়াই শুধু সময়ের অপেক্ষা”।
সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্য তৃণমূল শিবিরে তুমুল বিতর্কের ঝড় তুলেছে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুনাল ঘোষও ছাড়তে রাজি নন। তিনিও বিজেপির অন্দরমহলের দ্বন্দ্বের উল্লেখ করে বলেছেন, “আগে ওঁরা নিজেদের লড়াই মেটান। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের লড়াই, আদি বিজেপির সঙ্গে তৎকাল বিজেপির লড়াই আগে মেটান, তারপর বড় বড় কথা বলবেন”।
কুনালের বক্তব্যে ২ দিন আগে কাটোয়ায় বিজেপির নেতা-কর্মীদের মারপিটের প্রসঙ্গও উঠে আসে। উল্লেখ্য, ওই প্রচার সভায় দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের পৌঁছনোর আগেই স্থানীয় বিজেপি নেতা- কর্মীদের ঝামেলার জেরে সভা ভন্ডুল হয়ে যায়।
বিজেপি সভাপতির কটাক্ষের জবাবে কুনাল ঘোষ সেই উদাহরণ তুলেই প্রতিক্রিয়া দিয়ে সগর্বে ঘোষনা করেছেন, “আমরা যা বলি তা রাজ্য ও দেশের স্বার্থে বলি। ওঁদের মতো ব্যক্তিস্বার্থ, চেয়ারের স্বার্থে বলিনা”।
বাকিটা সময়ই বলবে!