বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠল গুরুতরভাবে। যন্ত্রনায় কাতড়াচ্ছিলেন প্রসূতি। বারংবার ডাকাডাকি সত্ত্বেও ডাক্তার-নার্সদের সাড়া মেলেনি। তখন তাঁরা মোবাইলে মত্ত ছিলেন, যার ফলে ঘটল মারাত্মক দুর্ঘটনা।
নভেম্বরের ছয় তারিখে ভোর সাড়ে ৫ টা নাগাদ প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রসূতি। মহিলার নাম আমিনা শেখ, অর্জুনপুকুরে বাড়ি। প্রসূতি মহিলার পরিবারের লোকজনই তীব্র অভিযোগ তুলেছেন হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের বিরুদ্ধে। তাঁরা জানান, প্রসবকালীন যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছিলেন আমিনা। সেইসময় দায়িত্বে থাকা ডাক্তার ও নার্স মোবাইল ফোনে এমন মশগুল ছিলেন যে সাড়া পর্যন্ত দেননি। এদিকে প্রসব হয়ে যায়, সদ্যজাত বাচ্চাটি বেড থেকে গড়িয়ে পাথরের মেঝেয় আছড়ে পড়ে। সাথে সাথেই হুঁশ ফেরে চিকিৎসকদের। বাচ্চাটিকে দ্রুত আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়।
এই ঘটনায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চরম প্রশ্নের সম্মুখিন হয়েছে। প্রসূতি মহিলার পরিবারের তরফে বর্ধমান থানায় অভিযোগ লেখানো হয়েছে। দোষীদের চরম শাস্তির দাবি করে প্রসূতির বাড়ির লোক বলেন, “ডাক্তারকে ভগবান বলে মানি, কিন্তু এইভাবে অবহেলা করল! ডাক্তারের গাফিলতির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। এখন বাচ্চাটির যদি কিছু হয় তার দায়িত্ব কে নেবে?”
হাসপাতাল সুপার তাপস ঘোষ অবশ্য এই অভিযোগ এক কথায় মেনে নিতে রাজি নন। ঠিক কী ঘটেছিল তা তদন্ত করে দেখার সপক্ষেই মত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এখনও অভিযোগ পাইনি। আমাদের কাছে অভিযোগ করা হলে আমরা গোটা বিষয়টা দেখব। এখন বাচ্চাটি সুস্থ আছে। প্রসবের পরে সদ্যজাত শিশুটি সত্যিই মেঝেয় পড়েছিল কিনা সে ব্যাপারে অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখব”।
পুলিশও তাদের মতো করে ঘটনার তদন্ত করছে।