UNESCO-র হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলার দুর্গাপূজো। বেহালা চৌরাস্তার নির্বাচনী প্রচারসভাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্ছসিত হয়ে পড়েন। ঘোষণা করে দিলেন “আগামী দুর্গাপুজোয় স্পেশাল উৎসব হবে।”
বৃহস্পতিবার বেহালা চৌরাস্তায় পুরভোটের প্রচারসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার দুর্গাপূজোর সেরা স্বীকৃতির উল্লেখ করে বলেন, “কালকে সবথেকে বড় উপহার পেয়েছে। আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে! আমাদের দুর্গাপূজো বিশ্বে বন্দিত, বিশ্বসেরা। কেউ কেউ বলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপূজো করতে দেননা। এবার তাঁদের মুখে চুনকালি পড়ল। আমাকে তো বলতেন! এবার কি ইউনেসকোকেও বলবেন?”
মমতা স্বগর্বে ঘোষণা করেন,”আমাদের দুর্গাপূজো বিশ্বসেরা হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে চেষ্টা করে পূজো কার্নিভাল চালু করেছিলাম। আজ বাংলা বিশ্ব বন্দিত হল। ভোট দিন, বাংলাকে বিশ্বসেরা করব আমরা।”
এই মঞ্চ থেকেই দিঘায় জগন্নাথ মন্দির স্থাপনে ১২৮ কোটি টাকার বরাদ্দ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন ,”পুরীতে যদি জগন্নাথ মন্দির থাকতে পারে, দিঘায় কেন হবেনা?”
একই সঙ্গে তিনি আরো জানান,”দিঘায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সাত কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন বিচ তৈরি হচ্ছে। শুধু দিঘা কেন! তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, গঙ্গাসাগর যেখানে খুশি গিয়ে দেখে আসুন কী ছিল আর কী হয়েছে!”
দক্ষিণেশ্বরের মতো কালীঘাটেও স্কাইওয়াক তৈরি হবে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, স্কাইওয়াক নির্মাণের জন্য দোকানপাট সাময়িকভাবে হাজরা পার্কে স্থানান্তরিত হয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে আবারো ফিরিয়ে আনা হবে, অথবা নতুন জায়গার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
উন্নয়নমূলক ঘোষণার পাশাপাশি এদিন প্রচারসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি পুরকর্তাদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দিলেন,”কাজের সময় কাজ করতে হবে। অনেককে দেখি গাড়িতে চড়ে ঘুমোতে ঘুমোতে যান, সেটা করলে চলবেনা। আমি গাড়িতে করে গেলে সব দেখতে দেখতে যাই। বাকিদেরও সেটা করতে হবে।”
জনসাধারণের সেবায় নিযুক্ত প্রতিনিধিদের ১৩ ঘন্টা ফোন চালু রাখার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। নিজেকেই উদাহরণ রূপে সামনে রেখে বলেছেন, “আমাকে সারাদিনে চারশো ফোনের উত্তর দিতে হয়। এই তো নিউআলিপুর তারাতলায় জল জমেছিল। আমি গালিগালাজ করতে করতে গেছি। ববিকে ফোন করে বলেছি কেন জমল? লাইট খারাপ হলেও ফোন করি। এটা আমার কাজ নয় তবুও করি। আপনাদেরও এইভাবে চোখকান খোলা রাখতে হবে।”
পুরনির্বাচনে শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যসভায় পুরকর্তাদের নিজেদের দায়িত্বও স্মরণ করিয়ে দিলেন।