মঙ্গলবার উপনির্বাচনে ৪ বিজয়ী তৃণমূল বিধায়কের শপথগ্রহণের কার্যত অনুপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়করা। শুরুতে এই নিয়ে কটাক্ষ করেই বিধানসভা অধিবেশনে নিজের বক্তব্য রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রবল খেদ নিয়ে তিনি বলেন, “বিরোধীরা বিধানসাকে বিধানসভা বলে মনেই করেননা। যখন ইচ্ছা হয় আসেন যখন ইচ্ছা হয়না আসেননা। এতে আমার মর্মবেদনা হয়, তবে খারাপ লাগেনা”।
এদিন বিধানসভায় বিজয়ী ৪ বিধায়কদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেককে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপদেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, “ভুলবেননা আপনারা মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছেন। আমরা মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছি, ভালোবাসা পেয়েছি। মানুষের আশীর্বাদ অহঙ্কারের জায়গা নয়”।
পরিশেষে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন “বিরোধীদের বলব শুভ বিজয়া, শুভ দীপাবলি শুভ ছটপূজো এবং শুভ অহঙ্কার”।
তারপর থেকেই শব্দগুলো বিধানসভার কক্ষ ছাপিয়ে হাওয়ায় ভেসে এসে রাজনৈতিক মহলের কান ভারি করে তুলেছে। ‘শুভ অহঙ্কার’ কেন বললেন মমতা?
এদিন নিজের বক্তৃতায় পূজো পরবর্তী আগামী উৎসবের দিনগুলোতেও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ওপরেই জোর দিয়েছেন মমতা। পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি নিয়েও আলোচনা করেন। এদিন আরো একবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ১৬ নভেম্বর আবার শুরু হতে চলেছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। লক্ষীর ভান্ডারের ব্যাপক সাফল্যের উল্লেখের পাশাপাশি এদিন পাড়ায় পাড়ায় সমস্যা সমাধানের লক্ষ্য স্থির করার পরামর্শ দিলেন মমতা।
বক্তব্যে উঠে আসে প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। স্বভাবতই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সবকিছু ছাপিয়ে এদিনের গুঞ্জন তুলে দিয়ে গেল বিজেপিকে পাঠানো অদ্ভুত শুভেচ্ছা বার্তা –“শুভ অহঙ্কার!”