রাজনীতিতে শ্লোগানের তাৎপর্য সকলেই জানেন। কখনো তা সংগঠনকে উজ্জীবিত করে, আবার কখনো বিপক্ষকে উস্কে দেয়। এ ধারা নতুন নয়। জাতীয় এবং বিশ্বরাজনীতিতে এর অনেক নজির আছে।
‘লং লিভ রেভলিউশন’, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ বা ‘বন্দেমাতরম’ শ্লোগান একটা গোষ্ঠী তথা দেশ কাঁপিয়ে তুলেছে বিভিন্ন সময়ে।তবে সেসব শ্লোগান ছিল একটিমাত্র উদ্দেশ্য মুখী। একটাই লক্ষ্য তাকে ঘিরে ধ্বনিত এক বার্তা, এক কন্ঠস্বর।
তবে বর্তমানে আঞ্চলিক রাজনীতিতে ‘খেলা হবে ‘ শ্লোগানের ক্রমশ পথ পরিবর্তন উল্টোরকমই এক নজির তৈরি করেছে। উপরোক্ত শ্লোগানগুলির সাথে তুলনা এ লেখার উদ্দেশ্য নয়। শুধুই জেনে নিন কীভাবে ক্রমাগত নিজেকে পাল্টে চলেছে একটি শ্লোগান।
১৬ই আগস্ট দিনটিকে ‘খেলা হবে দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এর কিছু কারণও তিনি রেখেছেন। কিন্তু ওই দিনের ভাষণেই তিনি বলেন। -বিরোধীরা এর উল্টো মানে বের করছে। খেলা মানে খেলাই। তাই খেলা হবে।
বেশ তা হোক। কিন্তু একটা প্রশ্ন উঠল মনে । বিগত ইলেকশানের প্রচারে যে শ্লোগান এত ঝড় তুলল তা কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়! হলেই বা তাতে ক্ষতি কী! তার মানে ইলেকশানের পর এই শ্লোগান কি নিজেকে পাল্টে ফেললো? পাল্টেছে অনেকদিন ধরেই।
‘খেলা হবে’ শ্লোগানের উৎস আসলে এ রাজ্যে প্রথম নয়। শ্লোগানটি প্রথম ব্যবহার করেন বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের সদস্য, নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমান।
তারপর তা এ রাজ্যে ছড়ায়। বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট অনুব্রত মন্ডলই সবার আগে ধুয়ো তোলেন “খেলা হবে, এই মাটিতেই খেলা হবে…” ।
এরপর বিগত ইলেকশানে তৃণমূলের তরুণতম মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য ‘খেলা হবে’ জিঙ্গেলটি বানান। জনগণের মধ্যে যা ঝড়ের বেগে সংক্রমিত হয়। জনপ্রিয়তায় তা যে আবেদনপূর্ণ অস্বীকার করার উপায় নেই।
খেলা হবে দিবসে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় তা চেহারা নিল আর এক অন্যরূপে।