ভাগাড় কান্ডে সাজাপ্রাপ্ত হোটেল মালিককে মুক্তি দিল হাইকোর্ট। ২০১৮ সালের ৫ই মে বনগাঁর দুটি নামী হোটেল থেকে ৬ কেজি পচা মাংস ও ৩ কেজি পচা মাছ উদ্ধার করে পুলিশ। আার তারপরই তোলপাড় হয় কলকাতা সহ সারা রাজ্য। ওই দুই হোটেল মালিকদেরই একজন হলেন স্বরূপ সেন।
নিম্নআদালতের রায় নাকচ করে যাঁকে নির্দোষ বলে মুক্তি দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
সিআইডি তদন্তে মাংস সরবরাহকারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় তখনই তাদের মুক্তি দিয়েছিলেন নিম্ন আদালতের বিচারপতি। শুধু সাজা হয় দুই হোটেল মালিকের । আইপিসির ৩৭২ ও ৩৭৩ ধারায় তাদের ৫ বছরের জেল ও ১০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়।
আজ সেই রায়কে কার্যত ভুল প্রমাণ করে তাদেরই একজনকে মুক্তি দিল উচ্চ আদালত।
উক্ত কান্ডে বনগাঁর দুই হোটেল থেকে ফর্মালিন ডিহাইড্রেড করা মাংসের স্যাম্পেল পাওয়াতেই নির্ধারিত হয়েছিল ৫ বছরের সাজা। যদিও মাংস ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পাওয়া সাক্ষ্যে ফাঁক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো চার্জশিটই পেশ করতে করতে পারেনি সিআইডি। এতে তদন্তের গাফিলতির দিকে ইঙ্গিত ছিল তখন থেকেই।
গত বুধবারের হাইকোর্টের রায়ে হোটেল মালিক স্বরূপ সেন বেকসুর খালাস পেলেন। স্বরূপ সেনের পক্ষের আইনজীবী অঞ্জন ভট্টাচার্যের কথাতেও তদন্তের গাফিলতি, প্রমাণের অভাব এবং রান্না করা পচা মাংস খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন এমন একজন ব্যক্তির সাক্ষী না পাওয়ার বিষয়গুলিই বারবার উঠে আসে। ফলে হাইকোর্টের রায় স্বরূপ সেনেরই পক্ষে গেল।
বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য রায়ে স্পষ্টতই বলে দিলেন, যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে এই সাজা হয়না।
জনস্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত বিষয়টি শুরু থেকেই ছিল অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মাংসে ফর্মালিন পাওয়ায় আশঙ্কিত হয়ে চিকিৎসকরা জানান এতে ক্যান্সার হতে পারে। তা সত্ত্বেও নিম্ন আদালতে জামিন প্রাপ্তরা কেন সেদিন আদালতে হাজিরা দেননি? প্রমাণের অভাবেও কেন প্রথম মামলায় ৫ বছর জেল ঘোষণা করেছিল নিম্ন আদালত? ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে।